ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগস্টে এলসি কমেছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

আগস্টে এলসি কমেছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪১২ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছিল ৪৩৫ কোটি ডলার। ২০১৭ সালের আগস্টের তুলনায় এ বছরের আগস্টে আমদানি কমেছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আমদানি বাবদ ৪৭০ কোটি ডলার ব্যয় হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে বেসরকারী খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি। গত আগস্ট শেষে ঋণের প্রবৃদ্ধি নেমেছে ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশে। এত কম প্রবৃদ্ধি গত আড়াই বছরে দেখা যায়নি। অথচ এ বছরের শুরুতেও বেসরকারী খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমদানিজনিত চাপে দেশের ভেতরে বেড়েছে ডলারের চাহিদা। ফলে চাহিদার তুলনায় ডলারের জোগান কমে গেছে। এ কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন ঘটছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে চার টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত কয়েক মাস ধরে আমদানির জন্য এলসি (ঋণপত্র) খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ বাড়ছে। গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) দেশে পাঁচ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। এদিকে, গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরের শুরুতেও পণ্য বাণিজ্যে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই ও অগাস্ট মাসের বাণিজ্য ঘাটতির যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, এই সময়ে বাংলাদেশের পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর পুরো অর্থবছরে (জুলাই-জুন) বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৮২৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-অগাস্টে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময়ে রফতানি থেকে আয় হয়েছে ৬৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবে পণ্য বাণিজ্যে সার্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। তবে সেবা বাণিজ্যে ঘাটতি কমে ৩৯ কোটি ডলার হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৭৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার ছিল। এ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ডলার। সাধারণভাবে কোনও দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝা যায় চলতি হিসাবের মাধ্যমে।
×