ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৭ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২৯ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে সোয়া তিন কোটি টাকা লেনদেনের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। এ মামলার চার আসামির মধ্যে ভয়াল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মোঃ আখতারুজ্জামান নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন। প্রসঙ্গত, আট বছর আগে দুদকের দায়ের করা এ মামলার বিচারিক কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরই রায়ের নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক। ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বসানো জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলছে। কারাগারটির আরেকটি ভবনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বন্দী রয়েছেন খালেদা জিয়া। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে বলে বলছেন দুদকের কৌঁসুলি এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। মঙ্গলবারের আদেশে বলা হয়, আসামিপক্ষ নানা কারণ দেখিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন নাই। কালক্ষেপণ করেছেন। সেজন্য প্রসিকিউশন যে আবেদন করেছে সে আবেদন মঞ্জুর করা হলো। আগামী ২৯ অক্টোবর এ মামলা রায় ঘোষণার দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া জামিনে থাকবেন। মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে আসামিপক্ষকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল বলে আদেশে বলা হয়। খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বেআইনীভাবে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির এ মামলাটি দায়ের করেন। তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন খালেদা জিয়া। সেখানে নিজেকে খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার চান। খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে কয়েক দফা এ মামলার বিচারক বদলে দেয় হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা নানাভাবে সময়ক্ষেপণ করে বিচার বিলম্বিত করছেন বলে অভিযোগ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীও এ মামলার আসামি। পলাতক হারিছ চৌধুরীকে ২১ অগাস্ট মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। হারিছ চৌধুরীর তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
×