স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১২ লাখ মানুষ দুর্ঘটনায় নিহত হয় এবং আহত হয় পাঁচ কোটির বেশি। বাংলাদেশে বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যত মানুষ নিহত হয়, তার চেয়ে তিন গুণ বেশি মানুষকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয় ১০ গুণ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় এবং ৩০ গুণ মানুষকে চিকিৎসা নিতে হয়। দুর্ঘটনাপ্রবণ মহাসড়কের কাছাকাছি সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরী চিকিৎসার জন্য অন্যান্য হাসপাতালের পাশাপাশি ট্রমা সেন্টার নামে বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ব্যয়বহুল হওয়ায় অনেক ট্রমা রোগী পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে না। এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ বুধবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ট্রমা দিবস। ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে চতুর্থ সমস্যা হয়ে উঠবে পঙ্গুত্ব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞরা জানায়, দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার শিশু শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব বা পঙ্গুত্বের শিকার হয় যাদের বড় অংশেরই এই অবস্থা সড়ক দুর্ঘটনায়। বাকিরা ভারি কিছুর আঘাতে বা কোথা থেকে পড়ে গিয়ে পঙ্গু হচ্ছে। তবে সব বয়সীর হিসাবে দেশে বছরে এ সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭০ হাজার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে চতুর্থ সমস্যা হয়ে উঠবে পঙ্গুত্ব।
বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল গণি মোল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, এই হাসপাতালে প্রতিদিন যত রোগী আসে তাদের বড় একটি অংশেরই হাত বা পা একপর্যায়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হয় জীবন বাঁচানোর জন্য। আর এই লোকগুলো সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়। কিন্তু এ দেশে তাদের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারীভাবে তেমন পুনর্বাসন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
ট্রমা সেন্টার অকার্যকর ॥ দুর্ঘটনাপ্রবণ মহাসড়কের কাছাকাছি সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরী চিকিৎসার জন্য অন্যান্য হাসপাতালের পাশাপাশি ট্রমা সেন্টার নামে বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র চালু করা হয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এখন পর্যন্ত কাগজে-কলমে পাঁচটি ট্রমা সেন্টার চালু থাকলেও বাস্তবে এগুলো অকার্যকর হয়ে আছে। কোনটির যন্ত্রপাতি অচল আবার কোনটিতে নেই পর্যাপ্ত জনবল।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: