ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সীমা লঙ্ঘন করলে ইরানকে পাকড়াও করা হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সীমা লঙ্ঘন করলে ইরানকে পাকড়াও করা হবে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি হুমকি ও উপহাস বিনিময় করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। মঙ্গলবারের ভাষণে ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন, অপরদিকে রুহানি তার মার্কিন প্রতিপক্ষ ‘বুদ্ধির দৈন্যতায়’ ভুগছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের বার্ষিক এ অধিবেশনের ভাষণকে ইরানের ‘দুর্নীতিগ্রস্ত একনায়কতন্ত্রের’ ওপর আক্রমণে, উত্তর কোরিয়ার প্রশংসা করতে এবং বিশ্বায়নের ধারণা প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষাই যে তার লক্ষ্য তা তুলে ধরতে ব্যবহার করেন। তবে তার ৩৫ মিনিটের ভাষণের বেশিরভাগ অংশজুড়েই ছিল ইরান ইস্যু। দেশটির বিরুদ্ধে পারমাণবিক উচ্চাকাক্সক্ষা এবং সিরিয়া, লেবানন ও ইয়েমেনের ‘জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোকে’ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির’ অভিযোগ আছে ওয়াশিংটনের। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এবার দিয়ে মোট তৃতীয় বার কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখানে সভাপতিত্ব করলেন। খবর বিবিসি, আল-জাজিরা, এনডিটিভি ও সিএনএনের। জাতিসংঘের সবুজ মার্বেলের হলরুমটিতে দেয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের নেতারা বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু ও ধ্বংসের বীজ বপন করছেন। প্রতিবেশী, সীমানা কিংবা জাতিগুলোর সার্বভৌমত্বের অধিকার কোন কিছুর প্রতিই শ্রদ্ধা নেই তাদের।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তৃতার বেশিরভাগ সময়ই নীরব ছিলেন বিশ্ব নেতারা। অনুচ্চস্বরে ভাষণটি দিলেও এতে ট্রাম্পের ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথম’ নীতিটিই খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে। এই নীতির আলোকে তিনি ইরান পরমাণু চুক্তি ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্র্যাহার করে এবং ন্যাটোর রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি ব্যয় না করলে শাস্তি দেয়ার হুমকি দিয়ে বিশ্বের রাজনৈতিক ভারসাম্য বিপর্যস্ত করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে আমরা কখনই অনির্বাচিত, দায়িত্ববোধহীন, বৈশ্বিক আমলাতন্ত্রের কাছে সমর্পণ করতে পারি না। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দ্বারাই শাসিত। আমরা বিশ্বায়নের ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছি, দেশপ্রেমের মতবাদকে আলিঙ্গন করেছি।’
×