ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের তান্ডবে অতিষ্ট জেলেরা

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ৩১ জুলাই ২০১৮

বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের তান্ডবে অতিষ্ট জেলেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটে একের পর এক জলদস্যুদের তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে ফিশিং বোট ও মাঝিমাল্লা অপহরণের, গুম, খুন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা। জলদস্যুদের বেপরোয়া তান্ডবে অতিষ্ট জেলেরা। তাছাড়া জেলে সম্প্রদায়ের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এদিকে জলদস্যুদের ফিশিং বোটসহ মাঝিমাল্লাদের অপহরণের ঘটনায় মুক্তিপণের একমাত্র বাহক হিসেবে কাজ করছে বিকাশ। বাঁশখালীর সহ¯্রাধিক জেলে পল্লীর বাসিন্দাদের আতংকের অপর নাম বঙ্গোপসাগরের জাহাজহাড়ি। সম্প্রতি ওই স্থানে জলদস্যুদের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের বাশঁখালীর শেখেরখীল এলাকার চারটি ফিশিং বোটসহ মাঝিমাল্লারা। অপহৃত বোট মালিকরা জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে তাদের দাবীকৃত মুক্তিপণের টাকা আদায় করে চারটি বোট থেকে দুটি বোট ফিরে দিলেও অপর দুটি বোটের মুক্তির জন্য বিকাশে টাকা প্রেরণের পরও তারা ফিরিয়ে দেননি। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) ফিশিং বোটে ডাকাতি ও জলদস্যুদের তান্ডবের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাশঁখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি এয়ার আলী বলেন, জলদস্যুদের কারণে জেলেরা সাগরে মাছ আহরণ বন্ধ করে দিতে হবে। তারা কিছুদিন পর পর বাশঁখালীর জেলে ও মাঝিমাল্লাদের উপর নানা ভাবে অত্যাচার করে ডাকাতি, জেলে অপহরন ও লুটপাট করলেও আমরা কোথাও কোন বিচার পাইনা। জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের জাহাজহাড়ি নামক স্থানে কুতুবদিয়া ভিত্তিক ডাকাতদল প্রতিনিয়ত ডাকাতি সংঘটিত করে যাচ্ছে। তাদের তথ্যদিয়ে সহযোগিতা করছে বাশঁখালী ভিত্তিক কিছু তথ্যদান কারী। যারা ডাকাতদের কাছ থেকে নানা ভাবে সুবিধা গ্রহণ করে। জানা যায়, শেখেরখীল ফাড়ির মুখ এলাকার মোঃ মিয়া (আল্লাহর দান), আলী হোসেন (মায়ের দোয়া), আবদুল খালেক (আল্লাহর দয়া) ও ফজল কাদেরের (এফবি কালু ফকির) মাঝারি আকারের ফিশিং বোট গুলো বিগত ৪/৫ দিন আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গেলে মাছ ধরে ফেরার পথে শুক্রবার জাহাজহাড়ি নামক স্থানে ডাকাতের কবলে পড়ে। প্রতিটি ফিশিং বোটে ১৫/১৮ জন মাঝিমাল্লা রয়েছে। জলদস্যুরা তাদের কাছে থাকা মাছ সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে তাদের জিম্মি করে রাখে। পরবর্তীতে মোবাইলে বোট মালিকদের কাছে টাকা দাবী করে। জলদস্যুদের দাবীকৃত টাকা বোট মালিকগণ বিকাশের মাধ্যমে প্রেরন করলে মোঃ মিয়া, আলী হোসেন এর বোট ও মাঝিমাল্লারা ফিরে আসলেও আবদুল খালেক ও ফজল কাদেরের বোট ও মাঝিমাল্লারা ফিরে আসনি।
×