ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসেম্বরেই বাংলাদেশ ছাড়ছে এ্যালায়েন্স

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ২৩ জুলাই ২০১৮

ডিসেম্বরেই বাংলাদেশ ছাড়ছে এ্যালায়েন্স

বিডিনিউজ ॥ বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চালিয়ে আসা উত্তর আমেরিকার ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর জোট এ্যালায়েন্স এ বছরের মধ্যে তাদের কাজ গুটিয়ে নিচ্ছে। রবিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ্যালায়েন্সের কার্যনির্বাহী পরিচালক জেমস মরিয়ার্টি বলেছেন, আমরা আর এক্সটেনশন (কাজের মেয়াদ) চাচ্ছি না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এ্যালায়েন্স এখানে থাকবে না। ২০১৩ সালে ভয়াবহ রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সংস্কার ও পরিবেশের উন্নয়নে ইউরোপীয় ও আমেরিকান ক্রেতাদের দুটি জোট বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। ‘দি এ্যালায়েন্স ফর ওয়ার্কার্স সেফটি’ নামে উত্তর আমেরিকার সংগঠনটি এ্যালায়েন্স নামেই পরিচিতি পায়; ইউরোপের ক্রেতাদের জোটটি এ্যাকর্ড অন ফায়ার এ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ ‘এ্যাকর্ড’ নামে পরিচিতি পায়। প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার ৭৮০ কারখানা মূল্যায়নের ভার পড়ে এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের ওপর। তবে তাদের মূল্যায়নে কারাখানার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে দেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের আর প্রয়োজন নেই। এখন সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে দেশের ‘সংস্কার সমন্বয় সেল (আরসিসি)’ পুরোপুরি প্রস্তুত। সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় ব্যবসায়ীদের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ গড়ে তুলেছে আরসিসি। সরকারের চাপেই কি বাংলাদেশ ছাড়তে হচ্ছে, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে ‘না’ সূচক উত্তর দেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক সময় কাজ করে যাওয়া মরিয়ার্টি। তিনি বলেন, আমাদের যে কাজ ছিল, তা বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই কাজের আওতায় ২০১৪ সালে একটি ‘হেলপলাইন’ চালু করে এ্যালায়েন্স, যাতে শ্রমিকরা তাদের কথা বলতে-জানাতে পারতেন। ‘আমাদের কথা’ শীর্ষক এই হেলপলাইনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হস্তান্তর নিয়ে রবিবার ওয়েস্টিন হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে জানানো হয়, এখন ‘আমাদের কথা’র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে ফুলকি, তাদের সহায়তা দেবে লেবার ভয়েস ও লেবারলিঙ্ক।
×