ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাড্ডা ইউলুপ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৭ জুলাই ২০১৮

 উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাড্ডা ইউলুপ

মশিউর রহমান খান ॥ উদ্বোধনের অপেক্ষা রামপুরা-নতুনবাজার-মেরুল বাড্ডা ইউলুপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তক যে কোন দিন এটি উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং করতে ঘষামাজা, রং, ইউলুপের উপরের রাস্তার কার্পেটিংসহ সকল কাজই সম্পন্ন করা হয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্মিত ইউলুপটির নির্মাণ কাজ শুরুর তিন বছর পর চালু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তক দেয়া সময় অনুযায়ী চলতি মাসের শেষের দিকের যে কোন দিন অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ওই এলাকায় যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী অতি প্রয়োজনীয় এই লুপটি যান চলাচলের জন্য উদ্বোধনের মাধ্যমে খুলে দেয়া হবে। সে লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে শেষ মুহূর্তের কাজ। প্রকল্প সূত্র জানায়, উদ্বোধনের জন্য শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সময় একটু বেশি লাগলেও এখন এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়ার পালা। এর আগে গত বছরের ২৫ জুন চালু হয় রামপুরা ইউলুপ। চালুর পর থেকেই এর সুফল পেতে শুরু করে রাজধানীবাসী। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, ঢাকার যানজটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রামপুরা নতুনবাজার-মেরুল বাড্ডা এলাকা। চালুর পর রামপুরার মতো বাড্ডা ইউলুপটিও এ এলাকার যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইউলুপটি চালু করা গেলে হাতিরঝিল থেকে বের হয়ে ইউলুপটি ব্যবহার করে সহজেই রামপুরা-বনশ্রী-মালিবাগের দিকে যাওয়া যাবে। একইভাবে এসব এলাকা থেকে যেকোনো যানবাহন নির্বিঘেœ হাতিরঝিল লেক দিয়ে কাওরানবাজার বা মগবাজার এলাকায় পৌঁছতে পারবে। প্রকল্প সূত্র জানায়, বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণে সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। শুরুতে এর নির্মাণ ব্যয় ৪০ কোটি টাকা ধরা হলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়। নির্মাণ কাজে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীর দুর্ভোগও বাড়তে থাকে। অবশেষে এর সমাপ্তি ঘটছে। হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে বাড্ডা ইউলুপ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুনে ও ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে এটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ২০১৭ সালের জুনের শুরুতে এটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানালেও পরবর্তীতে একই বছরের ডিসেম্বর ও সর্বশেষ ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ ইউলুপটি চালু করা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানানো হয়। কিন্তু বার বার দেয়া সময়ও ঠিক রাখতে পারেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক (রাজউক অংশ) জামাল আখতার ভূইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ও নাগরিক বিড়ম্বনা কমাতে সমন্বিত হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে রামপুরা নতুনবাজার-মেরুল বাড্ডা ইউলুপটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এটির নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউলুপটি উদ্বোধন করবেন। সময় পাওয়া সাপেক্ষে চলতি মাসের শেষে বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধনের মাধ্যমে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। নির্মাণে অতিরিক্ত সময় ও বাড়তি ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মামলা থাকায় ও নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। জামাল আখতার বলেন, চালুর পর রামপুরার মতো বাড্ডা ইউলুপটিও এ এলাকার যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি চালু করা গেলে হাতিরঝিল থেকে বের হয়ে এটি ব্যবহার করে সহজেই রামপুরা-বনশ্রী-মালিবাগের দিকে যাওয়া যাবে। একইভাবে এসব এলাকা থেকে যে কোনো যানবাহন নির্বিঘেœ হাতিরঝিল লেক দিয়ে কাওরানবাজার বা মগবাজার এলাকায় পৌঁছতে পারবে। এর মাধ্যমে ঢাকার ভেতরের যানজট বর্তমানের তুলনায় অনেকাংশে কমাতে সহায়ক হবে। এর আগে ২০১৭ সালের ২৫ জুন চালু হয় রামপুরা ইউলুপটি চালু করার পর এই এলাকাসহ আশপাশের অনেক এলাকার যানজট আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে এসেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ প্রকৌশল নির্মাণ ব্যাটালিয়ন (ইসিবি)। ইউলুপটি কবে নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে ইসিবি-১৭-এর মেজর সাদিক শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নির্মাণকাজ একদম শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। উদ্বোধনের তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। ঠিক হলে আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেব। উদ্বোধনের মাধ্যমে এটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে।
×