ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন ইউসুফ হুমায়ুন

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৮ জুলাই ২০১৮

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন ইউসুফ হুমায়ুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও সনদদানকারী একমাত্র সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। তিনি সুপ্রীমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক। শনিবার দুপুর ১টার দিকে বার কাউন্সিল ভবনে সাধারণ সভা শেষে নতুন ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সিনিয়র এই আইনজীবীর নাম ঘোষণা করা হয়। বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম বার ভবনের সম্মেলনকক্ষে সাধারণ আইনজীবীদের সামনে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নাম ঘোষণা করেন। তিন বছর মেয়াদে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। ৫০ হাজার আইনজীবীর এই সংস্থায় গত মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন আবদুল বাসেত মজুমদার। এবারের বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ১৪ পদের মধ্যে ১২টিতে জয় পেয়েছে সরকার সমর্থকরা। আর বিএনপি-সমর্থিতরা পেয়েছেন দুটি পদ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্য থেকে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে সহসভাপতি নির্বাচিত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইঙ্গিত ছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী সুপ্রীমকোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবী। গত ১৪ মে নির্বাচনের পর থেকে সহসভাপতি পদের জন্য আলোচনায় ছিলেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে সভাপতি-সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচিত বাসেত মজুমদার। বার কাউন্সিলের সহসভাপতি পদে আরও আলোচনায় ছিলেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামালা মামলার চীফ প্রসিকিউটর সৈয়দ রেজাউর রহমান। সৈয়দ রেজাউর রহমান যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালেরও প্রসিকিউটরও। তিনিও বার কাউন্সিলে একাধিকবারের নির্বাচিত সদস্য। সারা দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। প্রতি তিন বছর পর পর স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বার কাউন্সিলের বিধি অনুযায়ী এটি পরিচালিত হয় ১৫ সদস্যের কমিটি দিয়ে। পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হন বাংলাদেশের এ্যাটর্নি জেনারেল। এই পদটি ব্যতীত নির্বাচিত ১৪ সদস্যের মধ্যে থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও মতামতের ভিত্তিতে একজনকে সহসভাপতি নির্বাচিত করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনার্স এ্যান্ড বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল এখন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার পর নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হলো শনিবার। গত ১৪ মে বার কাউন্সিলের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৫০ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর গত ২৬ মে ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম পুনরায় ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হীরু আবারও লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মখলেসুর রহমান বাদল মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। এ্যাডভোকেট কবির উদ্দিন ভুঁইয়া ত্রাণ কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট পাভেজ আলম হাউজিং কমিটির চেয়ারম্যান, পাবালিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন এ্যাডভোকেট মোঃ ইয়াহিয়া। বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত মুহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরীকে ল-রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে।
×