ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী ১১ জুলাই উদ্বোধন করবেন

সোয়া লাখ হজগমনেচ্ছুকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত আশকোনা হজ ক্যাম্প

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ৫ জুলাই ২০১৮

  সোয়া লাখ হজগমনেচ্ছুকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত আশকোনা হজ ক্যাম্প

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সোয়া লাখ হজযাত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্প। আগামী ১১ জুলাই বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন হজের মূল কার্যক্রম। পরদিন থেকে হজ যাত্রীরা এখানে তশরিফ আনবেন। এ উপলক্ষে বুধবার হজ ক্যাম্পে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠক করেন এসএসএফসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা। তারা হজ ক্যাম্পের সার্বিক প্রস্তুতি কার্যক্রম তদারকি করেন। বুধবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পের মসজিদে ধোয়ামোছার কাজ চলছে। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন লোকজন। প্রতি বছরের মতো এবারও নতুন করে সাজানো হচ্ছে প্রত্যেকটি দফতরের অফিস। সামনের ফুল বাগান থেকে শুরু করে ভেতরের সব জায়গা পরিষ্কার করা হচ্ছে। যেসব জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন, সেসব জায়গায় মেরামতের কাজ করা হয়েছে। মেঝেতে পানি ঢেলে হারপিক ও কোথাও কোথাও এ্যান্টিসেপটিক লিকুইডে পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন পরিচ্ছন্ন কর্মী আলেয়া বেগম। তিনি জানান, গত তিন দিন ধরে তারা ২০ কর্মী বিরামহীন পরিচ্ছন্নতার কাজ করে যাচ্ছে। আরও দুদিন তারা ধোয়ামোছার কাজ করবে। হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি এসএসএফ তদারকি করে গেছে। তাদের কিছু নির্দেশনাও রয়েছে যেগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য বেশিরভাগ কাজই সমাপ্তির পথে। বাকিটুকু দুই-তিন দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ জুলাই। হজযাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে হজ কর্তৃপক্ষ। হাজযাত্রীদের যেন কোন ধরনের সমস্য না হয় আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে হজযাত্রীরা ক্যাম্পে আসতে শুরু করবেন। ১৪ জুলাই থেকে তারা জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়তে শুরু করবেন। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্লাইট চলবে। আমরা প্রতিবছরই এই সময় পরিচর্যা পরিচ্ছন্নতার কাজ করে থাকি। এ ক্যাম্পে একত্রে প্রায় ৩ হাজার হজযাত্রী অবস্থান করতে পারেন। উল্লেখ্য, ব্যালটি হজযাত্রীদের ফ্লাইটের আগে এখানে অবস্থানের বিষয়ে এক ধরনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বেশিরভাগ ব্যালটি হজযাত্রীই এখানে দু-তিনদিন অবস্থানকালে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে হজের করণীয়, মাসলা-মাসায়েল ও অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও বয়ান গ্রহণ করেন। হজে গিয়ে মক্কা মদিনা, আরাফাত, মীনা ও মুজদালিফায় কখন কীভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় সেসব বিষয়েও অবহিত হবেন। এদিকে এবারও ক্যাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। প্রতি হজযাত্রীর সঙ্গে একজন অভিভাবক বা স্বজন ছাড়া অন্য কাউকে ক্যাম্পে ঢুকতে দেয়া হবে না। হজযাত্রীদের ইহরাম পরানোর অজুহাতে গত কয়েক বছর ধরেই এখানে কয়েকটি চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হজযাত্রীদের জানমাল হেফাজতের বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের যেন জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতে না হয় সেজন্য ক্যাম্পের ভেতরেই তিনটা রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে। হজযাত্রীরা এখানে স্বল্প মূল্যে খাবার সংগ্রহ করতে পারেন।
×