ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে নাশকতার ছক কষা হয় কলাবাগান ক্লাবে!

মেজর মিজানের নীলনক্সা, দুজনের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৯ জুন ২০১৮

মেজর মিজানের নীলনক্সা, দুজনের স্বীকারোক্তি

শংকর কুমার দে ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকা-, বিএনপির কর্মীদের আওয়ামী লীগের কর্মী সাজিয়ে জাল ভোট প্রদান, অপপ্রচারের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ছঁক কষেছিল বিএনপি। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব) মিজানুর রহমান মিজান ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সহযোগীসহ চার জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জড়িত তারা। গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে গাজীপুর নির্বাচনে নাশকতার ষড়যন্ত্র করার বিষয়ে টেলিফোনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে নাশকতা চালাতে রাজধানীর কলাবাগান ক্লাবে ৪ যুবকের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি নেতা মেজর (অব) মিজানুর রহমান মিজান। ওই ৪ যুবকের নাশকতায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। নাশকতার ভিডিও ও ছবি ধারণ করতে তাদের হাতে ‘স্পাইক্যাম’ সংযুক্ত হাতঘড়ি দেন মিজানুর রহমান। ইউটিউবে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপেও এ তথ্য রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। অডিও ক্লিপসে মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নেয়া আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের যুবদল নেতা শফিকুল ইসলামকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যুবদল নেতা শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্রে এ খবর জানা গেছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কর্মীদের ‘আওয়ামী লীগের ব্যাজ ও নৌকার ব্যানার’ দিয়ে কর্মী সাজিয়ে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে বড় ধরনের নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকা-, জাল ভোট প্রদান, অপপ্রচারের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ছঁক কষে বিএনপি। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও সজাগ থাকায় বিএনপির এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বানচাল, বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হওয়া যায়। মিজানকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার রাতে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানম-ি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গোয়ান্দা পুলিশ উত্তর বিভাগের উত্তরা জোনাল টিমের এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম ওই মামলার বাদী। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের আগের রাতে গুলশানের বাসা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার ভোটের দিন সকাল ৬টায় আশুলিয়ায় বিকেএসপির মূল ফটকের সামনের রাস্তায় জড়ো হওয়ার সময় মামলার বাকি চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে তিনটি রিস্টওয়াচ ও ৯৫০০ টাকা জব্দ করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত উপকমিশনার। গ্রেফতার করা অপর চারজন হলেন- মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৩), মোঃ দিন্নাত (২৬), জুনায়েদ হোসেন জয় (১৬) ও আসাদ আলী (২২)।
×