ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচন নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি ভোটারদের চুলচেরা বিশ্লেষণ

পাল্টে যাচ্ছে হিসাব ॥ গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট কাল

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৫ জুন ২০১৮

পাল্টে যাচ্ছে হিসাব ॥ গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট কাল

গাফফার খান চৌধুরী/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/নুরুল ইসলাম, গাজীপুর থেকে ॥ আর মাত্র একদিন পর আগামীকাল মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তে সর্বত্রই চলছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। কে হতে যাচ্ছেন গাজীপুর সিটি মেয়র তা নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। তবে প্রচারের শেষ মুহূর্তে নির্বাচনের হিসাব পাল্টে গেছে। গত ৫ বছরে রাস্তা-ড্রেনেজ সিস্টেমসহ এলাকার তেমন কোন উন্নয়ন না হওয়ায় এবার মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটারদের সমর্থন পেতে অলিগলিতে ঘুরেছেন তারা। নির্বাচনকে ঘিরে হোটেল-রেস্তরাঁ থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লায় চলছে নির্বাচনী চুলচেরা বিশ্লেষণ। পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে নৌকা মার্কায় ভোট চাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। অন্যদিকে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী। অপরদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত-শিবির-জঙ্গীদের নাশকতার পরিকল্পনা আবারও ভ-ুল করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রবিবার ভোররাতে এ সিটি কর্পোরেশনের পার্শ্ববর্তী শ্রীপুরের মাওনা এলাকায় এক জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও পুলিশের সদস্যরা অস্ত্র ও বোমাসহ এক দম্পতিকে আটক করে। পুলিশের ধারণা, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা করার জন্য তারা গত কিছুদিন ধরে সেখানে আস্তানা গেড়েছিল। তবে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠাণের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ইতোমধ্যে ২৯ প্লাটুন বিজিবিসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সদস্য গাজীপুরে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচারের শেষদিনে বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও বৈঠক করে ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মার্চ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই জামায়াত-শিবির-জঙ্গীরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করার প্রক্রিয়া শুরু করে। তারা বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীকে জয়ী করার পরিকল্পনা করতে থাকে। প্রার্থী জয় লাভ না করলে পুরো গাজীপুরে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা করে। তারই অংশ হিসেবে তারা গাজীপুরে আস্তানা গাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জামায়াত-শিবির-জঙ্গী নেতাদের গাজীপুরে জমায়াতে করা হয়। নানা ছদ্মবেশে তারা অবস্থান নেয় গাজীপুরে। তফসিল ঘোষণার প্রায় এক মাস পর তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং, প্রস্তুতি, নাশকতার পরিকল্পনাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকের জায়গা ঠিক করা হয় গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন পুবাইলের ডেপারপাড়ায় অবস্থিত স্বপ্নচূড়া পিকনিক স্পটকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা পিকনিকের নামে সেখানে একত্রিত হয়। পিকনিক সাধারণত যেদিন হয়, সেদিনই স্পটে লোকজন এসে হাজির হয়। অথচ তাদের লোকজন পিকনিক স্পষ্টটিতে দুদিন আগ থেকেই অবস্থান করছিল। পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা পিকনিকের নামে ব্যানার ও স্মরণিকা পর্যন্ত তৈরি করে। স্মরণিকায় লেখা ছিল বাৎসরিক বনভোজন-২০১৮। তারিখ-২৭ এপ্রিল-২০১৮। আয়োজনে শ্রমিক পরিবার উন্নয়ন ফোরাম-গাজীপুর। বিষয়টি জানতে পেরে গাজীপুর পুলিশ ও গোয়ন্দা শাখা সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের নেতৃত্বাদানকারী গাজীপুর জেলার উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল শেখ জনকণ্ঠকে জানান, ওইদিন ভোর সাড়ে ছয়টার সময় সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রায় দেড়শ’ জামায়াত নেতার জড়ো হওয়ার কথা ছিল। অভিযান চলে অন্তত দুই ঘণ্টা। সেই অভিযানে জামায়াত-শিবিরের নেতাদের মধ্যে অন্তত ৮০ জন একত্রিত হয়ছিল। বাকিরা আসার অপেক্ষায় ছিল। অভিযানকালে জাময়াত-শিবির নেতারা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে পালানোর চেষ্টা করতে থাকে। পুলিশও পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। বাকিরা বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় জিহাদী বইপত্র, বোমা ও নাশকতা চালানোর নানা সরঞ্জাম। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের পর্যায়ক্রমে রিমান্ডে আনা হয়। রিমান্ডে জানা যায়, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির এস এম সানাউল্লাহ (৫০) ও সেক্রেটারি জেনারেল ডাঃ এটিএম মুজাহিদুল ইসলাম (৫৩) নাশকতার পরিকল্পনার নেপথ্য কারিগর ছিল। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রশিক্ষিত জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের সেখানে জড়ো করেছিল মূলত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে। নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীর বিজয় না হলে পুরো গাজীপুরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল। যে ৪৫ জন গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন গাজীপুরের। বাকিরা ছিল জামালপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নরসিংদীসহ আশপাশের জেলার। গ্রেফতারকৃতরা সবাই জামায়াত-শিবিরের পদধারী শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জামায়াত এত বড় বড় নেতার এভাবে একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করার সময় গ্রেফতার হওয়ার কোন নজির নেই। তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতা ঘটা বিচিত্র ছিল না। গ্রেফতারকৃতরা জেলে। তাদের ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে। তবে তাদের পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ মদদে আরও কেউ এ ধরনের তৎপরতা চালাতে পারে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। এ জন্য তারা সজাগ রয়েছেন। তবে জামায়াত-শিবির-জঙ্গীদের আর বড় ধরনের নাশকতা চালানোর ক্ষমতা অন্তত আর গাজীপুর নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোপন বৈঠকের আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য পিকনিক স্পটটির মালিক জামায়াত নেতা নিজাম উদ্দিন খান (৪৮), পিকনিক স্পটে কর্মরত থাকা শিমুল (২৮) ও পিকনিক স্পটের ম্যানেজার জামায়াত নেতা সোলেমানকে (৫০) আসামি করা হয়েছে এ মামলায়। তারা পলাতক। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেরে গেলে জামায়াত-শিবির-জঙ্গীরা মিলে গাজীপুরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্যই সেখানে একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল বলে রিমান্ডে আসামিরা জানিয়েছে। মূলত এদের ধরা পড়ার পর থেকেই গাজীপুরে জামায়াত-শিবির জঙ্গীরা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাদের আর বড় ধরনের কোন নাশকতা ঘটানোর মতো শক্তি নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও নাশকতার বিষয়টি এবার নির্বাচনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তাদের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তা রাসেল শেখ জানান, নির্বাচনে জামায়াত-শিবির বিভিন্ন প্রার্থীর লোক সেজে কাজ করে যাচ্ছে। তারা জামায়াত-শিবিরের কর্মী। কেন্দ্রীয় বা স্থানীয় পর্যায়ের কোন নেতা নয়। তাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। তাদের অনেকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে নাশকতা চালিয়ে বা নিজেদের প্রার্থীদের হত্যার পর সরকারের ঘাড়ে দায় চাপানোর কৌশলের বিষয়েও তারা অবগত। সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন নির্বাচন কমিশন। নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচনে সার্বিক নিরাত্তার জন্য বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন উপলক্ষে ইতোমধ্যে পুরো নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। পোশাক ছাড়াও বিপুল পরিমাণ পুলিশ সাদা পোশাকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা জানান, বিজিবি সদস্যরা বুধবার পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। এর বাইরে আরও বিজিবি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখান থেকে মোতায়েন করা হবে। এ সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ ওয়ার্ডের প্রতি দুটিতে এক প্লাটুন করে মোট ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে এই নির্বাচনে। ২০ থেকে ৩০ জন বিজিবি সদস্য নিয়ে এ বাহিনীর এক একটি প্লাটুন গঠিত হয় বলে কর্মকর্তারা জানান। গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ বলেন, ২৯ প্লাটুন বিজিবির মধ্যে কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায় ৭ প্লাটুন, টঙ্গী এলাকায় ১০ প্লাটুন এবং জয়দেবপুর, বাসন চান্দনা চৌরাস্তা ও কাউলতিয়া এলাকায় ১২ প্লাটুন দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া নির্বাচনে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, পুলিশ, এপিবিএন, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১১ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগ ॥ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী (নৌকা) জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন রবিবার গণসংযোগ ও বৈঠক করে ব্যস্ত দিন কাটিয়েছেন। এদিন সকালে তিনি নগরীর সালনা এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে দিনের কর্মসূচী শুরু করেন। পরে তিনি চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ি, বাসন, জয়দেবপুর, শিববাড়ি, গাছা, বোর্ডবাজার, টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় গণসংযোগ করেন। দুপুরে তিনি ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। পথসভায় বক্তব্য কালে মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত নির্বাচনে এ সিটির মেয়র পদে বিএনপি নির্বাচিত হলেও গত ৫ বছরে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি। গাজীপুরের মানুষ আর অনুন্নয়ের পথে থাকতে চান না। গাজীপুরের মানুষ এবার উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবেন। তাই এ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সকল ভোটারকে ২৬ জুন এ নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আজমত উল্লাহ খানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী (ধানের শীষ) হাসান উদ্দিন সরকার আবারো দাবি করেছেন পুলিশ ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ও হুমকি-ধমকি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বানচাল করে দিয়েছে। তিনি রবিবার সকালে টঙ্গী থানা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, খুলনার কারচুপির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুলিশ সদস্যদের ইতোমধ্যে গাজীপুরের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য আনা হয়েছে। কিন্তু শত বাধা সত্ত্বেও আমরা নির্বাচনে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নোংরা চরিত্র জাতির সামনে তুলে ধরব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অপকৌশল প্রতিহত করতে ঝড়-বৃষ্টি ও সব বাধা উপেক্ষা করে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৭টার মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের সকল এজেন্টকে ভোট কেন্দ্রে নির্বিঘেœ আসার আহ্বান জানান এবং কেন্দ্র পাহারা দেয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মীকে কেন্দ্রের পাশে অবস্থান নেয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি ভোটারদেরও কেন্দ্রে আসার আহ্বান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, টঙ্গী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম শুক্কুর, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি প্রভাষক বসির উদ্দিন, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি শহরের জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যান এবং কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।
×