স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ বোররচরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার এক পুলিশ সদস্যের বাবা-মা, ভাই-বোন গত ১৬ দিন ধরে এলাকা ছাড়া। পুলিশ সদস্যের ভাই ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাবেদ আলী শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। এ সময় জাবেদ আলী ছাড়াও তার বৃদ্ধ বাবা, মা ও এক বোন উপস্থিত ছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে পরিবারটি তাদের অসহায়ত্ব তুলে ধরেন। এই পরিবারের পুলিশ সদস্য রবিউল আউয়াল বর্তমানে দিনাজপুরে কর্মরত আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ক্ষেতে গরু-ছাগল চরানো ও ঘাস খাওয়ানো নিয়ে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাদেরই চাচাত ভাই দুলাল মিয়ার ঝগড়া হয় গত ৭ জুন। ওই দিন রাতেই তাদের বাড়িতে হামলা করে দুলাল মিয়ার আত্মীয়স্বজন। প্রকাশ্যে হামলাকালে তাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়া হয়। চারটি গরুসহ লুট করা হয় ঘরের জিনিসপত্র। জীবননাশের ভয়ে তখন তিনি বৃদ্ধ বাবা, মা ও বোনসহ বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ৯ জুন কোতোয়ালি থানায় তিনি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ লুটের মামলা না নিয়ে চুরির মামলা গ্রহণ করে। এ সময় কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার পর থেকে তারা শহরের নানা স্থানে দিনযাপন করছেন। তাদের এখন খাওয়ার পর্যন্ত কোন টাকা হাতে নেই। পরনের কাপড় চোপড়ও নেই। জাবেদের বৃদ্ধ বাবা কদম আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিনি একটি লুঙ্গি পড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর একজন দয়া করে তাকে একটা পাঞ্জাবি দেয়। এভাবেই মানুষের দয়ার ওপর তাদের দিনযাপন চলছে। কদম আলী বলেন, তারা বাড়ি ফিরে যেতে চান।
কিন্তু ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। জাবেদ আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও তাদের মালামাল উদ্ধার করেনি। তারা সব কিছু হারিয়ে এখন পথের ফকির হয়ে গেছেন। জাবেদ আলী জানান, হামলাকারীরা তাদের আত্মীয় হলেও এলাকায় হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ। কয়েকজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীও আছে দুলালের সঙ্গে। জাবেদ আলী বলেন, দিনাজপুরে কর্মরত তার ভাই পুলিশ কনস্টেবল রবিউল আউয়াল বিভিন্নভাবে পুলিশের সাহায্য কামনা করছেন। কিন্তু তাতেও কোন ফল হয়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: