স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে খেয়াল-খুশিমতো বাড়িঘর নির্মাণ আর জলাশয় ভরাট হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফলে প্রায় সারা বছরই জলাবদ্ধতা আর বর্ষায় বন্যার আতঙ্কে থাকেন পূর্বদিকের কয়েকলাখ মানুষ। নগরবিদদের আশঙ্কা, বিচ্ছিন্নভাবে উন্নয়নের কারণে রাজউকের ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপ বাস্তবায়ন হুমকির মুখে পড়বে। নবগঠিত ওয়ার্ডগুলো নিয়ে শীঘ্রই মাঠপর্যায়ে সমন্বিতভাবে উন্নয়ন কাজ শুরু করার আশ্বাস সিটি কর্পোরেশনের।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হয়েছে ডেমরা, দনিয়া, নাসিরাবাদসহ ৮টি ইউনিয়ন। এলাকাগুলোর বেশিরভাগই মাছ চাষিদের দখলে থাকায় জলাবদ্ধ থাকে বছরের বেশিরভাগ সময়। এর মধ্যেই চলে বাড়িঘর নির্মাণ ও কলকারখানার অবকাঠামো তৈরির কাজ। এ বিষয়ে নগরবিদ অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, মূল কাজটা হবে রাজউকের। তারা সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভা বা স্থানীয়দের সঙ্গে একটা ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবে এবং সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব হবে রাজউকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে স্থানীয় উন্নয়ন তদারকি করা। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তত ৩০ টি ওয়ার্ডে বন্যা কিংবা জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নির্ভর করে তুরাগ ও বালু নদী দিয়ে পানি আসা এবং নেমে যাওয়ার ওপর। পানি সরে যাওয়ার পথগুলো বন্ধ হওয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।