ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইবোলা নিয়ে ভীতিই চিকিৎসায় প্রধান অন্তরায়

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ২৭ মে ২০১৮

ইবোলা নিয়ে ভীতিই চিকিৎসায় প্রধান অন্তরায়

মধ্য আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাস রোধ করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। যদিও তারা এর আগে এ বিষয়ে আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াই হবে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী। নিউইয়র্ক টাইমস। নোভেল ট্যাকটিস নামে একটি ওষুধ এখন ইবোলা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সঙ্গে আরও নতুন এ্যান্টিবডি বা নতুন ওষুধ ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এসব কিছু ইবোলা প্রতিরোধে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের আশাবাদী করে তুলেছিল। এসব কিছুর পরও এর চিকিৎসায় সফলতা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। কারণ চিকিৎসার ধরনটি নতুন। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। অন্যদিকে চিকিৎসা করতে হচ্ছে এমন এক জনগোষ্ঠীর যারা খুবই আতঙ্কিত। যে কোন কিছুর চিকিৎসা করতে তারা ভয় পায়। ডেমোক্র্যাটিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে এরই মধ্যে ৫৮ জনকে এ বিষয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ২৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত সপ্তাহে তথ্যটি দিয়েছে। এতে বলেছে, ইবোলা আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ডক্টর্স উইথআউট বর্ডারের উদ্যোগে কঙ্গোর এমবানডাকা শহরে ইবোলা চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ওই শহর থেকে মাত্র ৬০ মাইল দূরে পল্লী এলাকায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। গ্রামের লোকজন শহরে এসে চিকিৎসা করাতে ভয় পায়। এরই মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন রোগী পালিয়ে গেছে। অনেক রোগীকে তাদের পরিবারের লোকজন অনুরোধ করে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। যদিও ডাক্তাররা তাদের হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু তারা সে পরামর্শে কান দিচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতেও পর্যাপ্ত কর্মী নেই। রোগীর সঙ্গে আত্মীয় স্বজনকে অনেক ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে একই কক্ষে থাকতে হচ্ছে। এর ফলে চিকিৎসা যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। ২০১৪ সালের দিকে আফ্রিকায় এ রোগ যখন প্রথম দেখা যায় তখন চিকিৎসা কর্মীদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হতো। গিনিতে চিকিৎসা কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ভ্যাকসিন এ্যালায়েনেসর প্রধান নির্বাহী ড. সেথ বার্কলে বলছেন, ইবোলা প্রথম মার্ক ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ ভালভাবেই বিতরণ করা হয়েছে। তবে রোগীরা যদি নির্ভয়ে চিকিৎসার জন্য না আসে তবে কাক্সিক্ষত ফল আশা করা যায় না।
×