ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৪ বছর ধরে নিউমার্কেটে দুটি দোকান দখল করে রেখেছে এক বিএনপি নেতা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৪ মে ২০১৮

৪ বছর ধরে নিউমার্কেটে দুটি দোকান দখল করে রেখেছে এক বিএনপি নেতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চার বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির ঢাকা গভঃ নিউমার্কেটে দুটি দোকান দখল করে রেখেছে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা। সমবায়ীদের মালিকানায় দোকান দুটি দখলমুক্ত হলে জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়াত্ব থেকে বেঁচে যাবে। এজন্য সরকার প্রধানের কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি সাধনা দাস গুপ্তা এ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৫৬ সালের ২৫ জুন তৎকালীন সরকার তাঁত শিল্পেদের মালামাল বিক্রি করার বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির নামে ঢাকা গভঃ নিউমার্কেটের ১৬১ ও ২৬২ নম্বর দুটি দোকান বরাদ্দ দেন। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ¯েœহছায়া ও মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ১৯৬৪ সালে এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়া প্রতিষ্ঠানের জন্য গৌরবের ছিল। সাধনা দাস গুপ্তা বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দিনে দুপুরে বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন সরদার তার সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে গভঃ নিউমার্কেটে সমিতির এই দু’টি দোকান জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ সময় ওই দোকানের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র পালকে মারধর করে দোকানের ক্যাশবক্সসহ সকাল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে দোকান দুটি দখল করে আছেন মামলাবাজ মকবুল। তিনি জানান, সে সময় মকবুল গভঃনিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি নেতা ছিলেন। সেই প্রভাব খাটিয়ে দোকান দুটি দখল করার ১ দিন পর দোকানের ভাড়াটিয়া বিপ্লবের বিরুদ্ধে ৬১ লক্ষ ১২ হাজার টাকার চেক জালিয়াতির মিথ্যা মামলা করেন। সমিতির ভাড়াটিয়া বিপ্লবকে কি জন্য, কিসের উদ্দেশে কখন কিভাবে টাকা দিয়েছেন? মকবুল সরদারের টাকার উৎস কোথায়? এর জবাব মকবুল সরদার দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ মামলা হামলার হয়রানি থেকে সমিতির সদস্যরা পরিত্রাণ চায়। এমনকি মামলাবাজ মকবুল সমিতির সভাপতি (এসডি গুপ্তা) সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ২১টি মামলা দায়ের করলেও সঠিক প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় অধিকাংশ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। সাধনা দাস গুপ্তা অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার শাসন আমলে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা মহানগর তাঁতি দলের সভাপতি মকবুল হোসেন সরদার এ সমিতির সভাপতি হন। এর পরবর্তীতে তাঁর স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতারণা, লুণ্ঠন ও দখলদারিত্ব মনোভাবের ফলে প্রায় ৫২ লাখ সমবায়ীদের মধ্যে অমানিশার ছায়া নেমে আসে। তাঁতি সমবায়ীদের মধ্যে হতাশা ও তাদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা নিউমার্কেটে ১৬১ ও ২৬২-এর ২টি দোকানসহ বেদখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধার এবং সমিতির ব্যবসায়ী বিপ্লব চন্দ্র পালসহ অন্য কর্মকর্তারা মামলা-হামলা থেকে রক্ষা পেলে এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়াত্ব থেকে বেঁচে যাবে। ৮৭ শতাংশ সরকারী শেয়ার ও ১৩ শতাংশ সমবায়ীদের মালিকানায় এই সমিতি রক্ষায় সরকার প্রধানের কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। সাধনা দাস গুপ্তা জানান, চার বছর ধরে মামলাবাজ মকবুল গভঃ নিউমার্কেটের ওই দু’টি দখল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। দোকান দু’টি উদ্ধারের জন্য সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
×