ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই লাশ উদ্ধার

মাদ্রাসা কর্মচারী ও ছাত্রসহ তিন খুন

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১২ মে ২০১৮

মাদ্রাসা কর্মচারী ও ছাত্রসহ তিন খুন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যশোরে ইজিবাইক চালক ও মাদ্রাসা কর্মচারী, জয়পুরহাটে এইচএসসি পরীক্ষার্থী খুন হয়েছে। গাজীপুরে দোকানি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। যশোর এক ইজিবাইক চালককে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ইজিবাইক চালক তুরান হোসেন (১৫) যশোর সদরের শাহাপুর আড়পাড়ার ইবাদুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যশোর আঞ্চলিক কেন্দ্রের দেয়ালের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে তার কোন সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবারের স্বজনরা। বাঘারপাড়ায় আসাদ নামে এক মাদ্রাসা কর্মচারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম আজমল হুদা জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে এলাকার লোকজন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যশোর আঞ্চলিক কেন্দ্রের দেয়ালের পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরে পুলিশ জানতে পারে তার নাম তুরান। সে ইজিবাইক চালাত। ওসি আরও জানান, নিহত ছেলেটির নাকে ও মুখে রক্ত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রাম থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ইজিবাইকের ব্যাটারি খুলে নেয়া হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকা-, আর কারা এর সঙ্গে জড়িত পুলিশ সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বাঘারপাড়ায় আসাদুজ্জামান আসাদ (৫০) নামে এক মাদ্রাসা কর্মচারীর গলাকাটা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়েছে। গলা কেটে ও মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া চিত্রা নদীর পাশে শ্মশানঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে খুন করে। পরে লাশটি বস্তায় পুরে শ্মশানঘাটে ফেলে রেখে যায়। নিহত আসাদ নারিকেলবাড়িয়া পশ্চিমা মাদ্রসার কেরানি ছিলেন। তিনি পশ্চিমা গ্রামের ইসহাক মোল্লার ছেলে। মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। নিহতের চাচাত ভাই কুদ্দুস হোসেন জানান, পশ্চিমা গ্রামের তনাইয়ের স্ত্রী ও রসুলের স্ত্রীর সঙ্গে আসাদের পরকীয়া ছিল। জয়পুরহাট জয়পুরহাটে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফজলে রাব্বীকে (১৮) হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করল প্রতিবেশী যুবক রেজা (২৫)। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু রোডে এই হত্যা ঘটনা ঘটে। পুলিশ, এলাকবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আক্কেলপুর উপজেলার রোয়াইর গ্রামের সেলিম রেজা (মালয়েশিয়ায় বসবাসরত) ছেলেদের লেখাপড়ার জন্য ৫ বছর পূর্বে শহরের বিহারীপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। সেলিম রেজার পুত্র ফজলে রাব্বী জয়পুরহাট শহীদ জিয়া কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেয়। বৃহস্পতিবার ছিল তার শেষ পরীক্ষা। বিহারীপাড়া সংলগ্ন সওদাগরপাড়ার গিয়াস উদ্দীনের পুত্র রেজার বঙ্গবন্ধু সড়কে ‘রেজা ফার্মেসি’ নামে একটি ওষধের দোকান আছে। রেজা প্রায়ই ফজলে রাব্বীর নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ধার চাইত। কিন্তু সে টাকা ধার দিতে পারত না। কয়েকদিন পূর্বে রেজা ফজলে রাব্বীর নিকট থেকে কয়েকদিনের জন্য মোটরসাইকেল চায়। কিন্তু সে দিতে অস্বীকার করে। এ সময় রেজা তার ওষুধের দোকান থেকে হকিস্টিক নিয়ে রাব্বীর রাস্তা রোধ করে। এ সময় দুজনের মধ্যে বাগবিত-া হয়। এক পর্যায়ে হকিস্টিক দিয়ে রেজা রাব্বীর মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে। গাজীপুর শ্রীপুরে শুক্রবার এক চা দোকানির ঝুলন্ত লাশ তার দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম সেকান্দর আলী (৩৮)। সে চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী উপজেলার কর্ণফুলী গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। শ্রীপুর মডেল থানার এসআই মাহামুদুল হাসান ও নিহতের স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা আবদার গ্রামের আব্দুল আশরাফুলের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থেকে পাশের একটি দোকানে চা-পান বিক্রির ব্যবসা করত সেকান্দর। শুক্রবার সকালে নাস্তা না খেয়ে কাঁধে গামছা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর দীর্ঘ সময়েও বাড়ি না আসায় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে নিজ দোকানের ভেতর আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচানো তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, কসবায় নিখোঁজের ৪ দিন পর মোঃ সুমন মিয়া নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সালদা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, কসবার মন্দবাগ এলাকার সালদা নদীতে লাশটি দেখে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন এসে লাশটি সুমনের বলে শনাক্ত করেন। মৃত সুমন উপজেলার কোল্লাপাথর এলাকার মোঃ শাহ আলমের ছেলে।
×