ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আসানসোলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনা ও শর্মিলা ঠাকুরকে দেয়া হচ্ছে ডি. লিট

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৯ মে ২০১৮

আসানসোলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনা ও শর্মিলা ঠাকুরকে দেয়া হচ্ছে ডি. লিট

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গ সফরে যাবেন। সফরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গড়া শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন তিনি। একই দিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদি। জানা গেছে, ২৫ মে কলকাতায় গিয়ে শান্তিনিকেতন যাবেন শেখ হাসিনা। পরের দিন যাবেন আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডি. লিট দেয়া হবে। এছাড়া এদিন আরও দুই ব্যক্তিত্বের হাতে তুলে দেয়া হবে সম্মানসূচক ডি. লিট। তারা হলেনÑ বলিউড তারকা শর্মিলা ঠাকুর ও ভারতের ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিশিষ্টবিজ্ঞানী এসএম ইউসুফ। খবর ওয়েবসাইটের। তবে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সমাবর্তনে যোগ দেবেন এবং দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে পারেন। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। কলকাতার বাংলাদেশ উপ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, শান্তিনিকেতনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানের সূচী দেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন ছাড়াও তিনি বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও থাকবেন কি না, সে বিষয়ে জানানোর পরই প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিস্তারিত সূচী চূড়ান্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর শান্তিনিকেতন সফরের আগে গত ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণ কাজের চূড়ান্ত পর্ব সরজমিনে ঘুরে দেখেন। ১৮ এপ্রিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজকলি সেনের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন আসাদুজ্জামান নূর। ওই বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তিনিকেতন সফর সম্পর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে অবগত করা হয়। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকশিনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দু’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে শান্তিনিকেতন সফরের বিষয়ে সম্মতি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য শান্তিনিকেতন সফর ঘিরে উপ-দূতাবাস ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী শান্তিনিকেতন থেকে ঢাকায় ফেরার পর আরও দুটি প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতন সফর করবেন বলেও ওই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। এই বিষয়ে কলকাতার স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই বাংলাদেশ ভবন হস্তান্তর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাকায় ফিরে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। আড়াই বিঘা জমির ওপর প্রায় সাড়ে এগারো হাজার বর্গফুটের দ্বিতল বাংলাদেশ ভবনের পুরো ব্যয়ভার বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬ সালে এই ভবনের কাজ শুরু হয়। এই ভবনের জন্য ব্যয় হচ্ছে ২৫ কোটি রুপী। বাংলাদেশ ভবনে একটি আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এতে সুবিশাল মিউজিয়াম ছাড়াও রয়েছে লাইব্রেরি সেন্টার ও একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্যাফেটেরিয়া। তবে ভবনের কিছু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ভবনের সামনের লিফটটা সরিয়ে পেছনের দিকে নেয়া ছাড়াও বাংলাদেশ ভবনের অভ্যন্তরে ঢাকার শহীদ মিনারের আদলে একটি শহীদ মিনার তৈরির প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
×