ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টিকতে পারছে না বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৭ মে ২০১৮

 টিকতে পারছে না বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের বিমান চলাচল খাতে অনেক সম্ভাবনা থাকলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে টিকে থাকতে পারছে না দেশীয় বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো। পর্যাপ্ত নীতি সহায়তা ও আর্থিক সক্ষমতার অভাবে বিদেশী এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অসম প্রতিযোগাতায় হিমশিম খাচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় বাজার সম্প্রসারণে সরকারী নীতি সহায়তার পাশাপাশি এয়ারপোর্ট বা পার্কিং চার্জ ও জেট ফুয়েলের দাম কমানো দাবি তাদের। এ্যারো বেঙ্গলের হাত ধরে ১৯৯৭ সালে দেশে যাত্রা শুরু হয় বেসরকারী বিমান সংস্থার। এরপর গেল ২০ বছরে মোট ১২টি এয়ার লাইন্স অনুমতি পেলেও পরিচালনা করার পর বন্ধ হয়ে যায় ৭টি। আর ২টি প্রতিষ্ঠান অনুমতি নিলেও কখনোই পরিচালনায় আসেনি। এখন টিকে আছে মাত্র ৩টি বেসরকারী বিমান সংস্থা। অপর্যাপ্ত অভ্যন্তরীণ রুট, জেট ফুয়েলের উচ্চদাম, অতিরিক্ত সারচার্জ এর কারণে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শক্ত অবস্থানে দাঁড়াতে পারছে না দেশীয় বিমান প্রতিষ্ঠানগুলো। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ পরিচালক আশিস রায় চৌধুরী বলেন, ‘সরকার কিছু চার্জ মওকুফ করে দিলে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলো বেঁচে যাবে।’ দেশীয় বিমান প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষা ও যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে সারচার্জ ও ফুয়েল খরচ কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি লে. কর্নেল (অব) ফারুখ খান। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে এই মুহূর্তে বেসরকারী বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও নভোএয়ার তাদের বিমান পরিচালনা করছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সসমূহ হলো, এ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবাত, এয়ার বাংলাদেশ, রয়েল বেঙ্গল এয়ার, বেস্ট এয়ার, জিএমজি এয়ার লাইন্স এবং ইউনাইটেড এয়ার।
×