ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করতে চায় ইরাক

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১০ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করতে চায় ইরাক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইরাকের পোশাক ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকপণ্য আমদানি করতে অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোমবার বিজিএমইএ অফিসে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ তথ্য জানান ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু মাকসুদ এম. ফরহাদ। এ সময় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির উপস্থিত ছিলেন। জনাব ফরহাদ বলেন, ইরাক মূলত তুরস্ক ও চীন থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করলেও বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের মানের বিষয়ে ইরাকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে সাধারণ জনগণের ধারণা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং তারা এই পোশাক পেতে আগ্রহী। তাই ইরাকের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করতে চান। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইরাকের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক তৈরি হলে তা ইরাকে তৈরি পোশাকের বাজার সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। তিনি এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বিজিএমইএ সভাপতিকে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বের যেক’টি দেশ নিরাপদ কর্মপরিবেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পোশাকপণ্য প্রস্তুত করছে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সবুজ শিল্পায়নেও অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে লিড সনদপ্রাপ্ত ১০টি কারখানার মধ্যে ৭টি কারখানার অবস্থানই বাংলাদেশে। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে আমাদের ৬৭টি কারখানা লীড সনদ পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম কারখানা। আরও ২৮০টি কারখানা সনদ পাওয়ার পাইপলাইনে আছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইরাকে তৈরি পোশাকের বাজার সৃষ্টির বিষয়ে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ইরাকের বাগদাদে বাংলাদেশ মিশনে বাংলাদেশী পণ্য প্রদর্শনীর জন্য একটি ডিসপ্লে সেন্টার রয়েছে, যেখানে বিজিএমইএ থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়মিতভাবে পাঠানো হচ্ছে। সাক্ষাতকালে জনাব ফরহাদ আরও বলেন, ১৯৮১ সালে ইরাক ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে সরকারী পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ইরাক উভয় পক্ষ মনে করে দীর্ঘদিন পূর্বে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্বারকটিকে বর্তমানে আরও সময়োপযোগী করতে হবে। এ বিষয়ে অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি এক্সিকিউটিভ মিটিং হবে, যেখানে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
×