ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শান্ত-মারিয়ামে ‘সুন্দর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১০ এপ্রিল ২০১৮

শান্ত-মারিয়ামে ‘সুন্দর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির গ্রাফিক ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া বিভাগের উদ্যোগে সম্প্রতি ‘সুন্দর বাংলাদেশ’ শীর্ষক তিনদিনব্যাপী এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা ১২নং সেক্টরের ৫নং ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ আহসানুল কবীর। প্রদর্শনীতে গ্রাফিক ডিজাইন এ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া বিভাগের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের সর্বমোট ৫৮টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ছবিগুলোতে বাংলাদেশের নির্মল ও অনিন্দ সুন্দর প্রকৃতি, খেটে খাওয়া মজলুম জনগোষ্ঠী, ফুল-পাখি-পাহাড় ও নদীকে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়। প্রদর্শনীর ডিসপ্লে থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্বে পেশাদারিত্ব ও নান্দনিকতার ছোঁয়া ছিল। বিশেষ করে প্রতিটি ছবিতেই ছিল ভিন্ন আবেদন। কিছু ছবি ছিল এমন আবেদনময়ী ও অর্থবহ যেন এগুলো স্থির নয় এবং প্রত্যেকটি ছবি এতই সাবলীল ও অর্থবহ যে, নিচের বিবরণ না পড়েও এক দেখায় ছবির ভাষা প্রকাশ পায়। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিন ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ আহসানুল কবীর ও আগত অতিথিরা ছবিগুলো ঘুরে দেখেন ও আলোকচিত্রীদের সঙ্গে তাদের ছবি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সবার পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক শামসুন নাহার, ডিন ও জিডিএমের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল হালিম শেখ প্রক্টর ড. গোলাম মোস্তফা, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আহমেদ, জিডিএমের কো-অর্ডিনেটর ও সহকারী অধ্যাপক শেখ শাহাবুদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, এএমএমটির বিভাগীয় প্রধান মাসুদ আল নূর, স্থপতি এএফএম মহিউদ্দিন আকন্দসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রধান ও শিক্ষকম-লী উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম। আয়োজক শিক্ষার্থী তথা আলোকচিত্রীরা বলেন, আমাদের কাজের প্রশংসার চেয়ে ত্রুটি বিচ্যুতি তথা সমালোচনা শুনতেই আমরা বেশি উদগ্রীব ছিলাম। কারণ এসব থেকেই শেখার আছে। আজকের অভিজ্ঞতা আমাদের আরও সংগঠিত ও ছবির ভাষা অনুধাবন করাসহ বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করবে বলে আমরা এখনই উপলব্ধি করছি। তিনদিনব্যাপী প্রদর্শনীতে ব্যতিক্রমী ছবি প্রদর্শনের ফলে দর্শনার্থীদের জানার ও শেখার সুযোগ তৈরি হয়। প্রদর্শনীটি ১ থেকে ৩ এপ্রিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
×