ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় খাল বিল শুকিয়ে চৌচির

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ৫ এপ্রিল ২০১৮

কলাপাড়ায় খাল  বিল শুকিয়ে চৌচির

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৪ এপ্রিল ॥ সাগরপাড়ের উপকূলীয় দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে খরার কবলে পড়েছেন মানুষ। খরায় খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। মানুষ পানির সঙ্কটে পড়েছেন। কৃষকরা এখন মহাবিপাকে আছেন বোরোর ফলন নিয়ে। তারা সেচ সঙ্কটে রয়েছেন। গবাদিপশুকে খাওয়ানোর মতো পানিও মিলছে না। প্রাকৃতিক বৈরিতার কবলে পড়েছেন সাগরপারের মানুষ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ১২ ইউনিয়নের সর্বত্র খরার কবলে পড়ে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। খাল এবং পুকুর শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। দুপুর হলেই গবাদিপশু মানুষের পুকুরে ছুটছে। পুকুরের তলদেশে যেটুকু পানি থাকছে তা খাওয়ার জন্য বাধা দিচ্ছেন পুকুরের মালিক। মানুষের নিত্যব্যবহারের পানিরও চরম সঙ্কট চলছে। বালিয়াতলী ইউনিয়নের চৌরাস্তা থেকে মধুখালী যেতে পাকা সড়ক লাগোয়া খালটি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। একইভাবে নীলগঞ্জের টুঙ্গিবাড়িয়ার খাল, নিজকাটার খালের একাধিক শাখা খাল ফেটে চৌচির হয়ে আছে। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সবচেয়ে দীর্ঘ তারিকাটা ও মনষাতলীর খালটি শুকিয়ে যাওয়ায় পাঁচ গ্রামের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। খালের দুই পাড়ের বোরোর আবাদে ধানের শীষ বের হয়েছে কিন্তু অধিকাংশ কৃষক সেচ সঙ্কটে পড়েছে। খালটি এখন খা খা করছে। মানুষ গোসল রান্নায় পর্যন্ত পানি পাচ্ছেন না। এলাকার গৃহবধূ তাছলিমা বেগম জানান, তিনি এর আগে কখনও এভাবে এই খালটি শুকোতে দেখেননি। সব কয়টি ইউনিয়নের দৃশ্য একই। লতাচাপলীর মিশ্রিপাড়া থেকে কুয়াকাটায় যেতে সড়কের পাশের খালটিতে যেটুকু পানি ছিল তা পাম্প লাগিয়ে সেচ দেয়ায় এখন শুকিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মসিউর রহমান জানান, এ বছর কৃষক বেশি করে বোরোর আবাদ করায় পানির সঙ্কট চলছে।
×