ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২৯ মার্চ ২০১৮

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় তিন যুবকের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২৮ মার্চ ॥ মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর এলাকায় স্বর্ণের চেন বিক্রয়কে কেন্দ্র করে মাসুদ রানা (২৭) নামে যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অপরাধে তিন যুবককে মৃত্যুদ- এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। বুধবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এই রায় দেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হচ্ছেনÑ উপজেলার শাহবাজকান্দির (রসুলপুর) গ্রামের শাহজাহান শাহজাহান শিকদারের ছেলে সুফিয়ান আহম্মেদ ওরফে শিবির (২২), দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন (২৩) ও একই গ্রামের মোশারফ সরদারের ছেলে মোঃ শরীফ হোসেন (২০)। হত্যার শিকার মাসুদ রানা মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের বেপারীবাড়ীর আঃ মান্নান ওরফে মুন বেপারীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আসামিরা একটি স্বর্ণের চেন মাসুদ রানার কসমেটিকসের দোকানে বিক্রির উদ্দেশ্যে জমা রেখে ২০০০ টাকা দাবি করে। তবে মাসুদ রানা চেনটি স্বর্ণের কিনা তা যাচাই করে টাকা দিবে বলে তাদেরকে ১৫০০ টাকা দেয়। ৫শ’ টাকা বাকি রাখে। পরে চেনটি স্বর্ণের নয় সন্দেহ হলে তাদের কাছ থেকে ১৫শ’ টাকা ফেরৎ চায়। তারা টাকা দিবে বলে সময়ক্ষেপণ করে। এরপর ওই দিন রাত ৮টার দিকে মাসুদ রানা দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এরপর থেকে মাসুদ রানা নিখোঁজ হয়। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের এরশাদ বেপারীর পুকুর পাড়ে মাসুদ রানার মরদেহ পাওয়া যায়। এসিড নিক্ষেপে ৪ জনের ১৪ বছর করে দ- চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামে বসতঘর উঠানোকে কেন্দ্র করে ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের ৪ জনের গায়ে এ্যাসিড নিক্ষেপ করার অপরাধে নারীসহ ৪ জনকে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদ-, একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেছে আদালত। বুধবার বিকাল ৩টায় চাঁদপুর নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) আবদুল মান্নান এ রায় দেন। কারাদ-প্রাপ্তরা হচ্ছেনÑ উপজেলার পূর্ব ইসলামাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মনির হোসেন (২৫), মেয়ে হোসনে আরা বেগম (৩০), একই বাড়ির মৃত জুনাব আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৮) ও কাবিল মিয়া (২৬)। আর এসিডে দগ্ধরা হচ্ছেন: একই বাড়ির খলিলুর রহমানের বড় মেয়ে লাকী আক্তার, লাকীর স্বামী মতিউর রহমান, ছোট মেয়ে রাহিমা আক্তার ও বড় মেয়ের কন্যা (নাতনি) জান্নাতুল ফেরদৌস। জানা যায়, মামলার বাদী খলিলুর রহমান সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করতেন। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। ঘটনার দিন ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল একই বাড়ির উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে মনির হোসেন ও হোসনে আরা খলিলের সম্পত্তিতে বসতঘর উঠাতে চেষ্টা করেন। এতে খলিল তাদের বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ হয়। ওইদিন রাতে পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে পড়লে ১টার দিকে খলিলের বসতঘরের জানালা দিয়ে উল্লিখিত আসামিরা ঘুমন্ত অবস্থায় লাকী, মতিউর, রাহিমা ও শিশু জান্নাতের গায়ে এসিড নিক্ষেপ করেন।
×