ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে ৪ জন নিকাহ রেজিষ্টারের লাইসেন্স বাতিল

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সিরাজগঞ্জে ৪ জন নিকাহ রেজিষ্টারের লাইসেন্স বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ থাকলেও আইন অমান্য করে বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ জেলার ৪ জন নিকাহ রেজিষ্টারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন কামারখন্দর উপজেলার ৩ নং জামতৈল ইউনিয়নের মো: মোজাম্মেল হক এবং ৪ নং রায় দৌলতপুর ইউনিয়নের আব্দুল বারী, সদর উপজেলার ২ নং বাগবাটী ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম এবং কাজীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম। আইন মন্ত্রনালয়ে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছেন। জেলা রেজিষ্টারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার ৮৩টি ইউনিয়ন এবং ৬টি পৌরসভার সর্বমোট ১১৪ জন নিকাহ রেজিষ্টার(কাজী) কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে ১১ জন হিন্দু ধর্মীয় বিবাহ রেজিষ্টার রয়েছেন। সিরাজগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিকাহ রেজিষ্টারদের বিরুদ্ধে অহরহ বাল্য বিবাহ রেজিষ্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।এ নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গ্রামাঞ্চলে কর্মরত নিকাহ রেজিষ্টারদের বিরুদ্ধে বাল্য বিবাহ রেজিষ্টি করার প্রবণতা বেশী। এক্ষেত্রে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়। গত এক বছরের মধ্যে এ রকম ৪ জন নিকাহ রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমানাদি পাওয়ায় তাদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার মো: জসীম উদ্দিন ভুইয়া জানান, বাল্য বিবাহ রোধ করার জন্য নিকাহ রেজিষ্টারদের নিয়ে বার বৈঠকে উদ্বুদ্ধকরণ সভা এবং পত্র দিয়ে নিষেধ করা সত্বেও অনেক ক্ষেত্রে অনেকেই মানছেন না। প্রায়ই এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি জানান, অতি সম্প্রতি তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্টার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিাযোগ পাওয়া গেছে। এই নিকাহ রেজিষ্টার নিজ এলাকা ছেড়ে এসে সিরাজগঞ্জ শহরে বসবাস করে সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের এক নবম শ্রেণীর ছাত্রীর নিকাহ রেজিষ্ট্রি করেছেন। এ ক্ষেত্রে বয়সের কোন সার্টিফিকেট গ্রহন করেননি। বিষয়টি জানতে পেরে তাড়াশ সাব রেজিষ্টারকে তদন্ত করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে হাবিবুরের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হবে । তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অতি লোভী এ সকল নিকাহ রেজিষ্টারদের কারনে সরকারের বাল্য বিবাহ রোধ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
×