ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রাইমারী স্কুলে পুরুষের চেয়ে নারী শিক্ষক বেশি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রাইমারী স্কুলে পুরুষের চেয়ে নারী শিক্ষক বেশি

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরুষ শিক্ষকের চেয়ে প্রায় দেড় লাখ বেশি মহিলা শিক্ষক বেশি কর্মরত রয়েছেন। দেশে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫ লাখ ৫৭ হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৬৩ জনই মহিলা শিক্ষক। এছাড়া আউট সোর্সিয়ের মাধ্যমে প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে দফতরী কাম নৈশপ্রহরীর নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শেখ মোঃ নুরুল হকের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ বার্ষিক দশ কোটির অধিক টাকা সরকারের ব্যয় হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য রাজস্ব বাজেটে সর্বমোট ১০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সংসদ সদস্য দিদারুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকার সর্বমোট ১০ হাজার ২৭১টি পদের বিপরীতে ৭ হাজার ৯৩৭ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন এবং ২ হাজার ৩৩৪টি পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার প্রশ্নের জবাবে বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতার কারণে অবসরে যাওয়া বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের সময়মত কল্যাণ ও অবসর ভাতা প্রদান কর যাচ্ছে না বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে অবসর সুবিধার বিপরীতে মূল বেতনের শতকরা ৪ ভাগ হারে মাসিক ৩৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় হয়। তবে অবসর সুবিধা প্রাপ্তির জন্য মাসিক জমাকৃত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ফলে প্রতিমাসে ৩৫ কোটি টাকা ঘাটতি হিসাবে বার্ষিক ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৪২০ কোটি টাকা, যা পূরণের জন্য শিক্ষকদের ৪ ভাগ হারে চাঁদার অর্থের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। মন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড হতে ২০১৪ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ে জমাকৃত আবেদনসমূহের বিপরীতে চেকের মাধ্যমে অর্থ প্রদান করা হয়েছে। অবসর সুবিধা বোর্ডে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত জমাকৃত ৩৫ হাজার ৫শ’ আবেদন নিষ্পত্তি করতে মোট প্রায় এক হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। পুঞ্জিভূত বার্ষিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে উপানুষ্ঠানিক পত্র দেয়া হয়েছে।
×