ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

টিএসসি চত্বরে গানে গানে সঞ্জীব চৌধুরী স্মরণ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

টিএসসি চত্বরে গানে গানে সঞ্জীব চৌধুরী স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বহুমাত্রিক পরিচয়কে ধারণ করা ব্যক্তিত্ব সঞ্জীব চৌধুরী। তবে সাংবাদিকতা বা লেখকসত্তার বাইরে সঙ্গীতশিল্পীর পরিচয় পেয়েছে অনেক ব্যাপ্তি। তাই তো না থেকেও গানের সুরে সুরে তিনি রয়ে যান শুভাকাক্সক্ষী ও ভক্তদের হৃদয়ে। সোমবার ছিল এই শিল্পীর জন্মদিন। আর জন্মদিনে সুরে সুরে স্মরণ করা হলো সঞ্জীব চৌধুরীকে। তাঁর জন্মদিনে অনুষ্ঠিত হলো ‘৬ষ্ঠ সঞ্জীব উৎসব’। সঞ্জীব চৌধুরী উৎসব পর্ষদের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চৌধুরী চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় গানের এই উৎসব। গানে গানে শ্রোতাদের উদ্দীপ্ত করা এ উৎসবের পরিবেশনায় অংশ নেন ব্যান্ডদল ক্ষ্যাপা, চিৎকার, সিনা হাসান এ্যান্ড বাংলা ফাইভ, অনুরণ, অর্জন’ পার্পল রেইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও গানকবি। একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ডি রকস্টার শুভ, জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, তরুণ প্রমুখ। গানের দল ক্ষ্যাপার পরিবেশনায় ‘আমি কাঙ্গাল হবো মেঙ্গে খাবো’ গানটির মাধ্যমে শুরু হয় আয়োজন। এরপর দলটি পরিবেশন করে ‘চল যাই আনন্দের বাজারে, ধন্য ধন্য মোরা’সহ কয়েকটি গান। পরবর্তীতে গান নিয়ে মঞ্চে আসেন পার্পল রেইন। তারা পরিবেশন করে নগরবাউলখ্যাত জেমসের গান ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার’। ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদ পরিবেশন করেন সঞ্জীব চৌধুরীর জনপ্রিয় কয়েকটি গান। এগুলো হলোÑ গাড়ি চলে না, বায়োস্কোপ, আমি তোমাকেই বলে দেবো, স্বপ্নবাজি, সমুদ্র সন্তান ও জোছনা বিহার। গানের দল ‘গানকবি’ পরিবেশন করে ‘জোছনা রাইতে’। একক কণ্ঠে জয় শাহরিয়ার গেয়ে শোনান ‘সত্যি বলছি’। পারভেজের কণ্ঠে গীত হয় ‘যাবি যদি’ ইত্যাদি। প্রতিটি পরিবেশনা শেষে দর্শক শ্রোতাদের উচ্ছ্বসিত করতালিতে সুরের আলোকধারা বইতে থাকে সন্ধ্যার টিএসসিতে। আর মনোজ্ঞ এই আয়োজনে পুরোটা জুড়ে মূর্ত হয়ে থাকে সঞ্জীব চৌধুরী। বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলে একটানা রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। ৬৫ ভারতীয় শিল্পীর ছাপচিত্র প্রদর্শনী ॥ দেয়ালের গায়ে পাশাপাশি ঝুলছে অনেকগুলো ক্যানভাস। সেসব ছবি উদ্ভাসিত হয়েছে নানা বিষয়। যাপিত জীবনের চিত্র থেকে দেখা মেলে কল্পনার জগতকে। আর সবগুলো চিত্রকর্মই সৃজিত হয়েছে ছাপচিত্র মাধ্যমে। ছবিগুলো এঁকেছেন ভারতের সমকালীন ৬৫ জন চিত্রশিল্পী। সেসব চিত্রকর্ম নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৬ নং গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সোমবার সকালে এ প্রদর্শনীর সূচনা হয়। জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম ও ভারতের ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্টের মহাপরিচালক অদ্বৈত চরণ গড়ানায়েক । স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান। ছাপচিত্রের এচিং মাধ্যমে তেড়ে আসা ষাঁড়ের ছবি এঁকেছেন অভিজিৎ রায়। অতীন বসাকের ক্যানভাসে পুরনো আসবাবের ওপর দৃশ্য হয়েছে একাকী এক পাখি। আধুনিকা এক তরুণীর অভিব্যক্তিকে চিত্রপটে মেলে ধরেছেন কাশীনাথ সালভে। সনৎ করের ছবিতে মনুষ্য মুখাবয়বের ভেসে উঠেছে পাখির আদল। জীবনের চলমানতাকে ধাপে ধাপে ক্যানভাসে রূপায়ন করেছেন উত্তম কুমার বসাক। কবিতা নায়ারের চিত্রপটে উদ্ভাসিত হয়েছে পুষ্প দেখে মুগ্ধ হওয়া নারীর অভিব্যক্তি। বেদ নায়ারের ছবিতে পাতায়ভরা গাছের ডালের ওপর শরীর এলিয়ে দিয়েছে হালের সুন্দরী নায়িকা। বিশাল এক হাতির পেটের মাঝখান থেকে কালো রঙের বিড়ালের অবয়ব এঁকেছেন জয়ন্তী রাবাদিয়া। শতাধিক চিত্রকর্ম দিয়েছে সাজানো হয়েছে প্রদর্শনী। চলবে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×