ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্যবই দেয়া হবে ॥ নাহিদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

নতুন শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ পাঠ্যবই দেয়া হবে ॥ নাহিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২ কপি পাঠ্যবই। আগামী বছরের প্রথম দিনই এ বই বিতরণ করা সম্ভব হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের প্রায় সব বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পৌঁছে গেছে। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের ফলে দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরাও স্কুলে আসছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার রাজধানীর মাতুয়াইলে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ ও জয়নুল বারী, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা ও সদস্য ড. ইনামুল হক সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। বই বেশি ছাপা হয়েছে ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৯টি। তবে প্রাক-প্রাথমিকের বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখা হয় বিধায় এবার প্রাক-প্রাথমিকের বই গত বছরের চেয়ে কিছু কম বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, এবারের বইগুলো ভাল মানের কাগজে ছাপা হয়েছে। বইগুলো আকর্ষণীয় ও রঙিন। নবম-দশম শ্রেণির ১২টি সুখপাঠ্য বই দামি কাগজে রঙিন ছবিসহ ছাপা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম আগামী ৩০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। ১ জানুয়ারি ঢাকার আজিমপর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বই উৎসবের মাধ্যমে বই বিতরণ করা হবে। একই দিন সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে। এদিকে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বেকায়দায় ফেলতে প্রশ্ন ফাঁস করে তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এর দায়ভার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একার নয়, সামাজিক অবক্ষয় প্রধান কারণ। তিনি আরও বলেন, অনেক আগে থেকেই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। আগে এতো বেশি প্রচারণা হতো না, এখন গণমাধ্যম বেড়ে যাওয়ায় তা সর্বস্তরে প্রচার হয়ে যাচ্ছে। এখন এর মূলহোতা আমাদের শিক্ষকরা। সরকারকে বিপদে ফেলতে পাবলিক পরীক্ষার দিন সকালে শিক্ষকরা প্রশ্ন পেয়েই ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তা ফাঁস করে দিচ্ছেন। আমরা নানা প্রচেষ্টায় প্রশ্ন ফাঁস কমিয়ে এনেছি। আগে প্রশ্ন ছাপাখানা বিজি প্রেস ছিল প্রশ্ন ফাঁসের আখড়া। আমরা নানাভাবে সেখানে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করেছি। এ কারণে আগের চেয়ে এখন প্রশ্ন ফাঁস কমেছে বলেও দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আমরা এসব শিক্ষকদের নজরদারিতে রেখেছি। ইতোমধ্যে এমন কয়েকজন শিক্ষককে জব্দ করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারাই এমন অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। প্রশ্ন ফাঁস রোধে তিনি শিক্ষক-অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
×