ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাংস্কৃতিক জোটের শোভাযাত্রা

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

সাংস্কৃতিক জোটের শোভাযাত্রা

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার শপথ করে বিজয় দিবসে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ আর অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। বিজয় দিবস উপলক্ষে জোট আয়োজিত শোভাযাত্রায় এ আহ্বান জানানো হয়। শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘৭ মার্চ মুক্তি ও স্বাধীনতার ডাক বাংলার ঘরে ঘরে, ৭ মার্চ সম্পদ আজ বিশ্বমানবের তরে’। শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। সাতদিনব্যাপী বিজয় উৎসবের চতুর্থ দিনে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় বিপুলসংখ্যক সংস্কৃতিকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদানকারী দেশাত্মবোধাক গানের পাশাপাশি এতে ছিল সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গীবাদবিরোধী নানান স্লোগান। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের বিভিন্ন উক্তি প্লাকার্ড হিসেবে দেখানো হয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর আমরা যা পেয়েছি তা নিয়ে যেন আমরা গর্ব করি। যে মূল্যবোধ এবং চেতনার জন্য বাঙালী মুক্তিযুদ্ধ করেছে তা যেন আমরা অব্যাহত রাখতে পারি। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকে এ বিষয়ে এক হতে হবে। আমরা যদি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সমাজ গঠন করতে পারি তবেই আমাদের স্বাধীনতা সার্থক হবে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু এখনও মুক্ত হতে পারিনি। সাম্প্রদায়িকতা, পরাধীনতাসহ নানান বৈষম্য থেকে আমরা এখনও মুক্ত হতে পারিনি। এই অপূর্ণ কাজ পূর্ণ করতে পারলে আমরা মুক্ত হতে পারব। এই অপূর্ণ কাজ সমাপ্ত করার জন্য তরুণ প্রজন্মকে তিনি আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, যে মহান আদর্শকে সামনে রেখে আমরা দীর্ঘ তেইশ বছর পাকিস্তানী শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম সেই আদর্শ হচ্ছে একটি অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। আজকে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের শপথ গ্রহন করতে হবে। আমরা বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা আর জঙ্গীবাদকে উৎখাত করতে চাই। মক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
×