ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র উদ্বোধন

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে বহুল প্রতীক্ষিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজের উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী পাবনা জেলার রূপপুরে বেলা ১১টায় দেশের এই প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। সূত্র জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশন—রোসাটামের মহাপরিচালক এলেসি লিখাচেভ এবং উভয় দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। এই বিদ্যুতকেন্দ্র ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জোগান দেবে। রোসাটমের মাধ্যমে রাশিয়ার আর্থিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন ও জেএসসি অ্যাটমস্ট্রোক্সপোর্টের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তিতে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম ও অ্যাটমস্ট্রোক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির এন সাভুসকিন স্বাক্ষর করেন। রোসাটম নিযুক্ত রাশিয়ার অ্যাটমস্ট্রোক্সপোর্টের ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই প্রকল্প নির্মাণ করবে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে দেশের এই সর্ববৃহৎ প্রকল্পের বিনিয়োগ ব্যয় চূড়ান্ত করে। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন, সাইট ডেভেলপমেন্ট ও পার্সোনাল ট্রেনিংয়ের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের রাশিয়ার ঋণচুক্তি এবং ২০১১ সালে রোসাটমের সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুতকেন্দ্রটি স্থাপনে রাশিয়া সব ধরনের সহায়তা দেবে এবং জ্বালানি সরবরাহ করবে ও ব্যবহৃত জ্বালানি ফেরত নেবে। ২৬২ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এ প্রকল্পের দুই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে এই পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
×