ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল দেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ২৩ অক্টোবর ২০১৭

বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল দেশ

সেই ১৯৯৭ সাল থেকেই ১৩ লাখ জনসংখ্যার উত্তর-পূর্ব ইউরোপের বাল্টিক জাতি এস্তোনিয়া তাদের পুরো সরকার ব্যবস্থাকেই ডিজিটাল করে আসছিল। ফলে দেশটিতে এখন সব ধরনের সরকারী কর্মকাণ্ডই দেশটির নাগরিকরা অনলাইনের মাধ্যমে সেরে ফেলতে পারছেন। স্মার্টফোনেই দেশটির সব ধরনের সরকারী ফরম পূরণ করা যায়। এস্তোনিয়ার পথ অনুসরণ করে জাপান থেকে শুরু করে ফিনল্যান্ডের মতো দেশও তাদের সব সরকারী সেবা ডিজিটাল করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৯৯০-এর দশক থেকেই স্কাইপের জন্মস্থল এস্তোনিয়া শতভাগ ডিজিটাল সমাজ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। এ লক্ষে তারা যে কর্মসূচী গ্রহণ করেছিল তার নাম ছিল ই-এস্তোনিয়া। যা বর্তমানে বিশ্ববাসীর সামনে একটি আদর্শ হয়ে উঠেছে যে, কীভাবে একটি সরকার তার সব কর্মকাণ্ড সফলভাবে অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারে। ই-এস্তোনিয়া ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, এই কর্মসূচী ‘ই-স্টেট এর বিবর্তন’। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর ২০০০ সাল থেকেই এর মাধ্যমে নাগরিকরা তাদের ট্যাক্স সংক্রান্ত কার্যক্রম অনলাইনেই সম্পাদন করে আসছে। এছাড়া এর মাধ্যমে এস্তোনিয়ানরা মেডিক্যাল প্রেসক্রিপশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফলও সংগ্রহ করতে পারছেন। এ ছাড়া ডকুমেন্টে স্বাক্ষর, ভোটদান কার্যক্রমও চলছে অনলাইনে। এমনকি বিদেশী নাগরিকদেরও নাগরিকত্ব দেয়া হচ্ছে অনলাইনে। এই প্রকল্পের মুখপাত্র আন্না পিপারেল বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকেও তাদের কার্যক্রম ডিজিটাল করার জন্য সহায়তা করবেন তারা। ফিনল্যান্ড, জাপান এবং সাইপ্রাসও ইতোমধ্যে এস্তোনিয়ার সহযোগিতায় তাদের সরকারী সেবাসমূহ অনলাইনভিত্তিক করা শুরু করেছে। তারা হয় এস্তোনিয়ার কোন কোম্পানির সহায়তা নিচ্ছেন আর নয়তো এস্তোনিয়ান আইডিকার্ড সিস্টেম ধার করছেন। এস্তোনিয়ার প্রতিটি নাগরিককে এমন একটি ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে যা তারা সামাজিক নিরাপত্তাসহ ভোটদান এবং দুর্যোগ সহযোগিতার জন্যও ব্যবহার করেন। ই-সরকার কর্মসূচীতে দেশটির প্রচুর লোকের জন্য কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে। পিপারেল বলেন, নতুন যেকোন শিল্পের মতোই ই-এস্তোনিয়া কর্মসূচীতেও প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ওয়েবসাইট অবলম্বনে।
×