ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে চাকরি মেলায় প্রার্থীদের ঢল

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৬ অক্টোবর ২০১৭

যশোরে চাকরি মেলায় প্রার্থীদের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে দিনব্যাপী চাকরি মেলায় প্রার্থীদের ঢল নামে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে হাজির হন। বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। সরেজমিন জানা যায়, মেলায় অংশ নেয়া ৩১টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের স্টলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে পারেনি বিপুলসংখ্যক প্রার্থী। পুলিশী বাধায় পার্ক চত্বরে জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয়া হয়। তবে কেউ কেউ সরাসরি জমা দিতে পেরেছেন। বিপুলসংখ্যক প্রার্থী বাইরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের শঙ্কা, আদৌ তা জমা পড়বে কি-না। তবে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গেটের সামনে নির্ধারিত জায়গায় জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তারা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এগুলো পৌঁছে দেবেন। এর আগে সকালে মেলার উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী চাকরি মেলায় ৩১টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যÑ ডিজিকন টেকনোলজিস, সাজ টেলিকম, স্পেক্ট্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, স্টেলার ডিজিটাল লিমিটেড, এম্বার আইটি লিমিটেড, অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, দোহাটেক নিউ মিডিয়া, অগমেডিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড, এমসিসি, অন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, কাজী আইটি সেন্টার, ফিফোটেক, ই-জেনারেশন লিমিটেড, বাক্য, ওয়ালটন কম্পিউটার্স, ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া লিমিটেড, যশোর আইটি, প্রিমিয়ার ল্যাব, এনআরবি জবস, ওয়াটার স্পিড, উৎসব টেকনোলজিস লিমিটেড, ডি নেট ইত্যাদি। জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে আসা কেশবপুরের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশের বাধায় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে পারিনি। বাধ্য হয়ে গেটের সামনে বক্সে জমা দিয়ে চলে এসেছি। জানি না আদৌ তা পৌঁছবে কি-না। যশোরের রাশেদ খান জানান, কয়েকজন বন্ধু মিলে সিভি জমা দিতে এসেছেন। প্রচুর লোকসমাগম হওয়ায় পুলিশ স্টলে যেতে দিচ্ছে না। শুধু জাহাঙ্গীর আলম কিংবা রাশেদ খান নন, তাদের মতো কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী সিভি জমা দিতে এসে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন। মেলার স্টল ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ স্টলে চাকরিপ্রার্থীর সমাগম কম অথচ বাইরে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সরাসরি সিভি জমা না দিলে তাদের কাছে পৌঁছানো কঠিন হবে। এজন্য একটু দেরিতে হলেও সরাসরি সিভি জমা দেয়া ভাল। তবে বিপুলসংখ্যক চাকরিপ্রার্থীর সাড়ায় খুশি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। জানতে চাইলে ডিজিকনের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আশরাফুজ্জামান রাসেল বলেন, চাকরি মেলায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক প্রার্থী মেলায় এসেছেন। আমাদের প্রতিষ্ঠান আরও বৃহৎ পরিসরে এখানে কাজ করতে চায়। সেক্ষেত্রে বিপুলসংখ্যক কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী।
×