ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় সিউল অভিবাসী শিল্প ও চলচ্চিত্র উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শিল্পকলায় সিউল অভিবাসী শিল্প ও চলচ্চিত্র উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিবাসী শ্রমিকদের সংগ্রামমুখর জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র বা তথ্য। সেসব স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আবার কয়েকটি নির্মাণ করেছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। তেমন আটটি চলচ্চিত্রের উন্মুক্ত প্রদর্শনী হলো বৃহস্পতিবার। বিকেল থেকে রাত অবধি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো সিউল অভিবাসী শিল্প ও চলচ্চিত্র উৎসব। ‘অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য চলচ্চিত্র, শ্রমিক নির্মাতাদের চলচ্চিত্র’ প্রতিপাদ্যে এ উসবের আয়োজন করে জলজ মুভি। সহযোগিতায় ছিল এএমসি ফ্যাক্টরি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ¦ালনের মাধ্যমে চিত্রশালার লবিতে উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরআগে বিকেলে চিত্রশালার মিলনায়তনে ছিল উদ্বোধনী আলোচনা। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, শ্রমিক নেতা মোশারেফা মিশু ও শিল্পকলা একাডেমির চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ সুমন। জাহিদুর রহিম অঞ্জন বলেন, শ্রমিকদের ওপর নির্মিত এবং শ্রমিকদের দ্বারা নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে এই উৎসবের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। শ্রমিকরা তাদের জীবনের কথা বলতে চায়। কিন্তু আমরা সে কথা শুনতে চাই না। শেষ পর্যন্ত ওই কণ্ঠস্বরগুলো আমাদের কাছে পৌঁছায় না। তাদের সেই জীবনের না বলা কথাগুলোই এই চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্য দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে। এই ছবিগুলো আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনের দিকে তাকাতে সাহায্য করবে। কতটা সংগ্রাম করে ও কষ্ট নিয়ে তারা প্রবাসে কাজ করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন, সেটাই উঠে এসেছে উৎসবের ছবিগুলোতে। গীতি আরা নাসরিন বলেন, উৎসবের ছবিগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আমাদের চেনা মনে হবে। কারণ এখানে আছে অভিবাসী শ্রমিকদের যাপিত জীবনের কথা। এই শ্রমিকরা হচ্ছে নিম্নবর্গের চেয়েও নিম্নবর্গ। সেই শ্রমিকরা তাদের নিজেদের জীবনের কথাই বলেছে সেলুলয়েডের মাধ্যমে। মোশরেফা মিশু বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যখন তাদের জীবন ও সংগ্রামের চিত্রটা পর্দায় দেখতে পান তখন তাদের মধ্যে ভিন্ন ধরনের অনুভূতি হয়। অন্যদিকে সাধারণ দর্শকও তাদের অর্জনকে উপলব্ধি করতে পারে। প্রকৃত অর্থে শ্রমিকরাই হচ্ছে পৃথিবীর আসল নির্মাতা। এই চলচ্চিত্র উৎসবে চারটি পর্বে মোট আটটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। দেখানো হয় চীনা নির্মাতা জিন শু নির্মিত ছবি ‘দ্য হুড’, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের দুই নির্মাতা ফরেস্ট ইয়ান এসলার ও সেবাস্তিয়ান সিমন নির্মিত ছবি ‘দ্য ট্রাবল্ড টুবেডর’, বাংলাদেশের নির্মাতা শেখ আল মামুনের সিউলে নির্মিত ‘ডায়াস্পারা’, কোরিয়ায় নির্মিত বাংলাদেশী নির্মাতা রবিন শেখের তথ্যচিত্র ‘মুক্তার মামা’, রবিন শেখ নির্মিত ছবি ‘সেইভিয়্যার’, নেপালের দাম্বার সুবা নির্মিত চলচ্চিত্র ‘শি রেইজ এগেইন’, ফিলিপাইনের নাশ অঙ নির্মিত ছবি ‘রিচ ডেড পুওর ডেড’ ও কোরিয়ার লি হুয়াংজুং নির্মিত ছবি ‘দ্য লেটার’। আজ আবৃত্তিসন্ধ্যা ‘জানাশোনা অচেনা-কথা’ মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহাবাগস্থ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে পরিবেশিত হবে ‘জানাশোনা অচেনা-কথা’ শীর্ষক আবৃত্তিসন্ধ্যা। প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে দশজন আবৃত্তিশিল্পী কুড়িজন কবির বাইশটি কবিতার আবৃত্তি পরিবেশন করবেন। সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
×