ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝলক

১০ সেকেন্ডে ক্যান্সার শনাক্ত দেখতে কলমের মতো একটি ডিভাইস। মাত্র দশ সেকেন্ডেই সেটি শরীরের ক্যান্সার কোষ শনাক্ত করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এমন কথাই বলেছেন। তারা বলেন, দেহ থেকে দ্রুত টিউমার অপসারণে কলমটি দিয়ে অস্ত্রোপচারও করা যাবে; যেটা খুবই নিরাপদ ও সঠিকভাবে করা সম্ভব হবে। এমনকি দেহকলায় কোন ক্যান্সার উপাদান রয়ে গেছে কিনা, সেই দুশ্চিন্তা থেকেও নিষ্কৃতি পাবে রোগী। অস্ত্রোপচারের পর কোন ক্যান্সার কোষ রয়ে গেলে কলমটি তা জানিয়ে দেবে। ক্যান্সার চিকিৎসায় এমন নিখুঁত হাতিয়ার আর হতে পারে না বলে জানান গবেষকরা। সায়েন্স ট্রান্সলেশনার মেডিসিন নামের একটি জার্নালে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। কলমটির নাম দেয়া হয়েছে মাসস্পেক। দেহকলায় ক্যান্সার কোষের রাসায়নিক রূপান্তরেও সহায়ক হবে এই ডিভাইস। কিন্তু এটি কীভাবে মানুষের শরীরে কাজ করবে। এমন প্রশ্ন রয়েই যায়। তা হলো, কলমটি শরীরের সন্দেহজনক ক্যান্সার কোষে স্পর্শ করবে এবং একফোঁটা পানি নির্গত করবে। দেহকলার ভেতরের রাসায়নিক থেকে এই পানিফোঁটা বের হবে। সঙ্গে সঙ্গেই কলমটি ফোঁটাটি শুষে নিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করবে। এরপর কলমটি একটি স্পেকট্রোমিটারে সংযোগ দেয়া হবে। এরপরই জানা যাবে, শরীরে ক্যান্সার কোষ আছে বা নেই। অনেক সময়ই দেহকোষে ক্যান্সার আছে কিনা তা শনাক্ত করা চিকিৎসকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু নতুন এই যন্ত্র দিয়ে সে সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।-বিবিসি অনলাইন শিশুশূন্য গ্রাম সুইজারল্যান্ডের একটি গ্রাম। অল্প কয়েকদিন পরই জনশূন্য হয়ে পড়বে। যে কয়েক বাসিন্দা রয়েছে তাদের বয়সও নব্বইয়ের ঘরে। সেখানে কোন শিশু, তরুণ তো দূরের কথা যুবকও থাকে না। দেশটির টিচিনিও অঞ্চলের কোরিপ্পো নামের গ্রামটি টিকে থাকার লড়াই করছে। তরুণ প্রজন্ম উন্নত জীবন ও আধুনিকতার খোঁজে গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে গেছে। তাই গ্রামের বাসিন্দারা এবার ভাল একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তিন শ’ বছরের পুরনো গ্রামটিকে বাঁচাতে ও এর ঐতিহ্য রক্ষা করতে তারা সেখানে উন্নতমানের হোটেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন; যাতে সেখানে পর্যটকরা এসে থাকতে পারেন। এতে গ্রামটি জনশূন্য হয়ে পড়বে না। টিচিনিও পর্যটন কেন্দ্রের পরিচালক এলিয়া ফ্রেপলি বলেন, নিকটস্থ শহর থেকে গ্রামটি মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার দূরে। শহরের কাছে হলেও সেখানে বসবাস করা খুবই কঠিন। কিন্তু অবসরের জন্য সপ্তাহে এক বা দুবারের জন্য যে কেউ এখানে আসতে পারেন। সেটা বেশ আরামদায়কই হবে বটে। গ্রামটিতে কোন বিদ্যালয়, দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী নেই। তবে সেখানে ৬০টির মতো পাথরের খালি বাড়ি পড়ে আছে। স্থানীয়রা সেগুলো পর্যটকদের থাকার জন্য উপযোগী করে তুলবেন; যাতে তারা ভ্রমণে এসে রাতে অবস্থান করতে পারেন। এসব বাড়ির কোন কোনটিতে ১৯৫০ সালের পর কোন মানুষের ছোঁয়া লাগেনি। এবার গ্রামটিকে টিকিয়ে রাখতে নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।- মেইল অনলাইন
×