ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুতা থেকে বিদ্যুত!

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৬ আগস্ট ২০১৭

সুতা থেকে বিদ্যুত!

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকরা এমন এক ধরনের সুতা আবিষ্কার করেছেন যা টানলে বা পাকালে বিদ্যুত উৎপাদন করবে। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। নতুন উদ্ভাবিত এ সুতার তারা নাম দিয়েছেন ‘টুইস্ট্রন’। এর মাধ্যমে মহাসাগরীয় স্রোত তাপমাত্রার ওঠানামার ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনের সময় বিদ্যুত উৎপাদন করা যাবে বলে সায়েন্স সাময়িকীর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গবেষক দলের সদস্য টেক্সাস ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক কার্টার হেইন্স বলেন, ‘সুতা দিয়ে বিদ্যুত তৈরির ধারণাটি হলো এমন যে আপনি সুতায় টান দেবেন আর এটি বিদ্যুত তৈরি করা শুরু করবে।’ মানুষের চুলের চেয়ে হাজার গুণ সরু এই সুতা কার্বন ন্যানোটিউব থেকে তৈরি করা হয়েছে। কার্বন তন্তুর ভেতরটা ফাঁকা। এর মধ্যে বসানো ইলেকট্রোলাইট থেকে বিদ্যুত তৈরি হবে। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির ন্যানো টেক ইনস্টিটিউটের গবেষক না লি বলছেন, ‘কার্বন ন্যানোটিউব তন্তু ইলেক্ট্রোপ্লেট বাথে রাখার সঙ্গে সঙ্গে তন্তুগুলোতে চার্জ শুরু হবে। এভাবে সুতা নিজে থেকেই বিদ্যুত উৎপাদন শুরু হবে এর জন্য কোন ব্যাটারি প্রয়োজন হবে না।’ এ নিয়ে গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন যে এই সুতা বৃহৎ উৎপাদনের বিকল্প নয়। অন্তত এখন পর্যন্ত তারা সে রকম মনে করছেন না। এই সুতা সামান্য পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদন করবে যা দিয়ে ছোট আকারের এলইডি লাইট কিছু সময়ের জন্য জ্বলবে। এছাড়া আরেকটি পরীক্ষায় দেখা গেছে শার্টে এই সুতা ব্যবহার করলে যে বিদ্যুত উৎপাদিত হবে তা দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস মনিটর করার যন্ত্র চালানো যেতে পারে। তবে এর সবচেয়ে ভাল ব্যবহার সেসব জায়গায় হতে পারে যেখানে ব্যাটারি চার্জ করার জন্য বিদ্যুত পাওয়া কঠিন। গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার হানইয়াং ইউনিভার্সিটির গবেষকরাও ছিলেন। মার্কিন বিমান বাহিনী, নাসা, নেভাল রিসার্চ দফতর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় প্রকল্পে অর্থায়ন করে। এএফপি অবলম্বনে।
×