ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভুটানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২৩ আগস্ট ২০১৭

ভুটানকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিনিয়ররা যা পারেনি তা-ই করে দেখালো জুনিয়ররা। যে ভুটানের কাছে লজ্জাজনকভাবে হেরে আগামী তিন বছরের জন্য এএফসির যে কোন আন্তর্জাতিক আসরে খেলা থেকে বঞ্চিত হয়ে বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল খাদের অতলে, সেই ভুটানকেই এবার ৩-০ গোলে হারালো (আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত) বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে সিনিয়ররা নয় জুনিয়র দল। নেপালের কাঠমান্ডুতে চলছে সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ। জুনিয়র টাইগাররা আগেই শেষ চারে নাম লেখানো নিশ্চিত করে ফেলেছিল। এবার নিশ্চিত করলো অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা। এই ফুটবল আসরে ‘এ’ গ্রুপে এর আগে বাংলাদেশ শুভসূচনা করেছিল ‘এ’ গ্রুপের খেলায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে। এবার ৩-০ গোলে হারালো ভুটানকে। দুই প্রতিপক্ষের জালে সাত গোল দিয়ে লাল-সবুজরা একটিও গোল হজম করেনি। সেমিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে ভারত ও নেপালের মধ্যে একটি দল। খেলার শুরুতে বাংলাদেশ খেলে ৫-৩-২ ফর্মেশনে। ডিফেন্স ও মিডফিল্ড মজবুত রেখে তারপর আক্রমণ শানানোর রণকৌশল। সেটা কাজে দিয়েছে দারুণভাবে। প্রথম থেকেই দ্রুতগতির ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে বাংলাদেশ দল। ১২ মিনিটে ভুটানের গোলরক্ষক তেনজিন দরজি একটি আত্মঘাতী গোল করলেও সেটা অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হলে গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। তবে বেশিক্ষণ এই আক্ষেপ থাকেনি বাংলাদেশের। ২৫ মিনিটে ভাগ্যদেবী মুখ তুলে তাকান তাদের পানে। একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। আগের ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা এই ফরোয়ার্ড বাঁ পায়ে ধর থেকে যে তীব্র শটটি নেয় তা পোস্ট দিয়ে জালে ঢোকে (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে বাংলাদেশ শিবির। দ্বিতীয়ার্ধেও সমানতালে খেলতে থাকে বাংলাদেশ দল। ৫২ মিনিটে আবারও সফলতার মুখ দেখে তারা। প্রতিপক্ষের ডানদিক দিয়ে আক্রমণ করা মিনহাজুল করিম স্বাধীনের ক্রসে মিরাজ মোল্লার চমৎকার হেড ফেরানোর কোন উপায় জানা ছিল না তেনজিন দরজির (২-০)। ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। সমতায় ফিরতে মরিয়া ভুটান একের পর এক এক আক্রমণ শাণায় কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা দক্ষতার সঙ্গে নসাৎ করে দেয় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। উল্টো ৮১ মিনিটে ভুটানের জালে আরেকটি বল পাঠিয়ে তাদের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় লাল-সবুজ বাহিনী। বক্সের বাঁপ্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বলে মিরাজের নিখুঁত প্লেসিং শট খুঁজে নেয় ভুটান দলের জাল (৩-০)। জোড়া গোল করে মিরাজ যেভাবে উদযাপন করে তা মিলে যায় রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডদের সঙ্গে! এই আসরে ‘বি’ গ্রুপের দলগুলো হচ্ছে : ভারত, মালদ্বীপ ও নেপাল। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল যথাক্রমে ২৫ ও ২৭ আগস্ট। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সিলেটে অনুষ্ঠিত সাফ অনুর্ধ-১৬ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ফলে শিরোপা অক্ষুণœ রাখার চাপ আছে তাদের ওপর। বাংলাদেশ দল ॥ স্যামুয়েল বাশার, নাজমুল বিশ্বাস (রনি কুমার), ইয়াসিন আরাফাত, জেহাদ হোসেন (অধিনায়ক), সাদেকুজ্জামান ফাহিম, আক্কাস আলী (রহমান জনি), রাজা শেখ, মিনহাজুল করিম স্বাধীন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, উজ্জ্বল হোসেন, মিরাজ মোল্লা।
×