ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা

টিকেট যুদ্ধ শুরু॥ গাবতলী টার্মিনাল ভিড়ে ঠাসা, কমলাপুরে স্বস্তি

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১৯ আগস্ট ২০১৭

টিকেট যুদ্ধ শুরু॥ গাবতলী টার্মিনাল ভিড়ে ঠাসা, কমলাপুরে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুরু হলো টিকেট যুদ্ধ। ঈদ আসন্ন। যেতে হবে সবুজ ঘাসের কাছাকাছি। যেখানে গ্রাম। প্রিয়জনের বসতি। নাড়ির টানে প্রস্তুতি আগেভাগেই। টিকেট নিশ্চিত হওয়া মানেই নিরাপদে বাড়ি ফেরাও নিশ্চিত। ঢাকা থেকে যারা ঈদ করতে গ্রামে যাবেন তাদের কাছে সবচেয়ে ঝক্কির বিষয় হলো, টিকেট নিশ্চিত করা। শুক্রবার সকাল থেকেই ট্রেন ও বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। এসি বাস ও ট্রেনের এসি চেয়ারের টিকেটের জন্য রীতিমতো হাহাকার। টিকেট কম। চাহিদা কয়েকগুণ। কেউ পেয়েছেন। কেউবা পাননি। তবে অগ্রিম টিকেট বিক্রির প্রথম দিনে ট্রেনের চেয়ে বাসের টিকেট সংগ্রহে যাত্রী চাপ অনেক বেশি দেখা গেছে। বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নামী-দামী বাস কোম্পানিগুলোর প্রায় সব টিকেট শেষ হয়ে যায়। আজ শনিবার দেয়া হবে ২৮ আগস্টের ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। কমলাপুরে স্বস্তির টিকেট সংগ্রহ টিকেট বিক্রি শুরুর ঠিক আগের দিন রেল মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। তাই অনেকই ঠিকঠাক হয়ত খবরই পাননি। যার ফলে সকাল আটটা থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হলেও কমলাপুর রেল স্টেশন ছিল কার্যত ফাঁকা। বেশিরভাগ কাউন্টারে টিকেট প্রত্যাশী লোকজনই ছিল না। কিন্তু দশটার পর থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। এগারোটার মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয় টিকেট সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। শুক্রবার প্রথমদিন দেয়া হয়েছে ২৭ আগস্টের টিকেট। কিন্তু এ দিন তিনটি ট্রেনের ডে অফ বাতিল করা হয়নি। যদিও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা ছিল ঈদ উপলক্ষে সকল ট্রেনের ডে অফ বাতিল করার। এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনের রেলওয়ে কর্তাব্যক্তিরা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও রেলওয়ের টিকেট বিক্রিতে কোটা প্রথা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মোট টিকেটের মধ্যে ২৫ ভাগ অনলাইনের জন্য বরাদ্দ। যে কোন যাত্রী অনলাইনে এই টিকেট কাটার সুযোগ পাবেন। পাঁচভাগ টিকেট ভিআইপি ও পাঁচ ভাগ রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের। বাকি ৬৫ ভাগ টিকেট সাধারণ যাত্রীদের জন্য। প্রথমদিনে অনেকটা স্বস্তিতেই টিকেট পেয়েছেন যাত্রীরা। টিকেট কালোবাজারি রোধে কমলাপুর রেল স্টেশনজুড়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সিসিটিভি স্থাপনের পাশাপাশি পুলিশ, রেল পুলিশ, আনসার, র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। খোলা হয়েছে র‌্যাবের অভিযোগ কেন্দ্র। পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরায় দেখে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, এ বছর বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক ভেঙ্গে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ। তাই ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে। সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, তেইশটি কাউন্টার থেকে একসঙ্গে টিকেট বিক্রি চলছে। দুটি কাউন্টার থেকে নারীদের টিকেট দেয়া হয়। এবার কোরবানির ঈদে তিন দিনের সরকারী ছুটি শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আগের দিন বৃহস্পতিবার হওয়ায় সেদিনের টিকেটের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে রেলওয়ে ও বাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকবে ৩০ ও ৩১ আগস্টের টিকেটের। রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমদিনে ৩১ আন্তঃনগর ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ২২ হাজার ৪৯৬ টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিশিতা জানালেন, সকাল নয়টার পর খবর পেলাম আজ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। সঙ্গে সঙ্গে চলে এলাম। সিলেটের টিকেটও পেয়েছি। এবার যাত্রা নিশ্চিত। তারসঙ্গে আরও টিকেট কাটতে এসেছিলেনÑ রিদা, সোহেলী ও শান্তা। সবাই টিকেট পেয়েছেন। তবে এসি চেয়ারের টিকেটের চাহিদা ছিল শুরুতে। পাননি। সাধারণ চেয়ারের টিকেট কেটে নিয়ে গেছেন তারা। রাজশাহীর পদ্মা এক্সপ্রেসের টিকেট কিনতে সকাল আটটার পর আসেন কল্যাণপুরের বাসিন্দা হাসেম মিয়া। তিনি প্রত্যাশিত টিকেট পেয়ে খুশি। বলেন, এবারের ব্যবস্থাপনা ভাল। টিকেট কালোবাজারির সুযোগ নেই। ভিড়ও তেমন নেই। টিকেট হাতে পেয়ে খুব ভাল লাগছে বলেও জানান তিনি। চট্টগ্রামের সুবর্ণা এক্সপ্রেসের টিকেট পেয়ে যেন খুশি ধরছিলনা কলেজ ছাত্র হাসিবের। তিনি জানান, প্রতিবারই শুনি মানুষ টিকেট না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। আমি জীবনে প্রথম কমলাপুরে টিকেট কাটতে আসলাম। এক ঘণ্টা পরেই টিকেট হাতে পেয়েছি। এখন থেকে প্রতিবছরই আমি টিকেট কাটতে আসব। সব আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হলেও রংপুর এক্সপ্রেসের টিকেট এদিন বিক্রি হয়নি। ফলে টিকেট কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছেন অনেকে। কামাল হোসেন নামের এক টিকেট প্রত্যাশী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে জানালে আমরা আসতাম না। সব ট্রেনের টিকেট দিলে রংপুর এক্সপ্রেসের টিকেট দেবে না কেন? এটা কোন ধরনের অরাজকতা? এই ট্রেনের টিকেট বিক্রি না করলে তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে পারত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্টারের টিকেট বিক্রেতা জানান, ২৭ তারিখ রবিবার রংপুর এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ কারণে টিকেট বিক্রি হচ্ছে না। কবে কোন তারিখের টিকেট আজ ১৯ আগস্ট বিক্রি হবে ২৮ আগস্টের টিকেট। ২০ আগস্ট বিক্রি হবে ২৯ আগস্টের টিকেট। ২১ আগস্ট বিক্রি হবে ৩০ আগস্টের টিকেট। ২২ আগস্ট বিক্রি হবে ৩১ আগস্টের টিকেট। টিকেট বিক্রির শুরুতে চট্টগ্রাম, সিলেট রুটের কাউন্টারে ভিড় ছিল অনেক কম। কিশোরগঞ্জের ট্রেনের টিকেট কাউন্টারও সাড়ে আটটার আগেই ফাঁকা হয়ে যায়। তবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন কাউন্টারে ভিড় ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রুটের তিস্তা এক্সপ্রেসের টিকেটের জন্য ভোর রাত থেকে কাউন্টারে অপেক্ষা করেছেন অনেকে। দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেসের এসি টিকেট কিনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জানান, বিক্রি শুরুর ৫ মিনিট পরেও এসি টিকেট পাননি তিনি। কোন ট্রেনের এসি কেবিন, চেয়ার বার্থ কিছুই নাই। শুনেছি এসব টিকেট নাকি ভিআইপিরা নিয়ে যায়। আমরা কষ্ট করে দাঁড়িয়ে থেকে টিকেট পাই না। তাহলে কাউন্টার রাখার মানে কি? বন্যার কারণে দিনাজপুরের ট্রেন পার্বতীপুর পর্যন্ত চলাচল করবে। পার্বতীপুর পর্যন্ত টিকেট দিলেও দিনাজপুরের ভাড়া রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাদমান সাকিব নামে একজন। পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরের ভাড়া প্রায় ৫০ টাকা। দিনাজপুর পর্যন্ত যেহেতু যাবে না, পার্বতীপুরের ভাড়া রাখলে ঠিক ছিল। কাউন্টার থেকে জানানো হয়, রেল লাইন ডুবে যাওয়ায় দিনাজপুর পর্যন্ত ট্রেন যাচ্ছে না। এরমধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হলে দিনাজপুর পর্যন্ত ট্রেন যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়। রংপুর এক্সপ্রেসের টিকেট না দেয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, আমরা সাধারণত ঈদের ৫ দিন আগে থেকে ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করি। ২৭ আগস্ট হয় ঈদের ৬ দিন আগে। এ কারণে ওইদিনের আগাম টিকেট দেয়া হচ্ছে না। আর ওই ট্রেন সেদিন ছুটিতে না থাকলে ঈদের আগে সিডিউল ঠিক রাখা যাবে না। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের আগে কেন জানানো হয়নি, সে প্রশ্নের উত্তর দেননি স্টেশন ম্যানেজার। আর পার্বতীপুরের জন্য দিনাজপুরের ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পার্বতীপুর পর্যন্ত কোন টিকেট নেই। সবাইকে দিনাজপুর পর্যন্ত টিকেট কিনতে হয়। ২৭ আগস্টের আগে লাইন ঠিক হয়ে গেলে ট্রেন দিনাজপুর পর্যন্তই যাবে। তিনি জানান, আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রত্যাশা সবাই টিকেট নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কেউ খালি হাতে যাবেন না। তিনি জানান, ২৯ তারিখ থেকে টিকেটের চাহিদা বাড়বে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ৩১ ট্রেনের ২২ হাজার ৪৯৬ টিকেট বিক্রি করা হবে। ট্রেনের অগ্রিম টিকেট ২২ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের নির্ধারিত স্থানে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দেয়া হবে। ২৯ আগস্ট থেকে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাসের টিকেট নিতে ভোর থেকে লাইন সব রুটের বাসের অগ্রিম টিকেট দেয়া হচ্ছে না। দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের রুটগুলোর টিকেট দেয়া শুরু হয় শুক্রবার সকাল থেকে। কিন্তু ভোর থেকে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায় রাজধানীর শ্যামলী থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত কাউন্টারগুলোতে। সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় দেখা গেছে হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে। এজন্য বাস কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। আবহাওয়া খারাপ থাকায় যাত্রীদের জন্য তাবু টাঙানো হয়। নারীদের জন্য খোলা হয় পৃথক কাউন্টার। বাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোজার ঈদের থেকে কোরবানির ঈদে বাস বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু সড়ক ভাল না থাকার কারণে ট্রিপ কমছে। এর কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, রাস্তার অবস্থা ভাল না থাকায় রোজার ঈদে সময় মতো গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগ হয়েছে। এবারও এমন আশঙ্কা থেকে ট্রিপ কমানোর কথা জানিয়েছেন তারা। জানান, এসি বাস খুবই কম। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় অনেক যাত্রী টিকেট পাননি। সকালে রাজধানীর সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল গাবতলীতে সরজমিনে দেখা যায়, টিকেট প্রত্যাশীদের প্রচ- ভিড়। তবে বেশিরভাগরেই টিকেট পেতে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে, কিন্তু কাক্সিক্ষত টিকেট পাচ্ছেন না অনেকেই। গাবতলীতে বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মূলত ৩০ ও ৩১ আগস্ট এই দুইদিনের টিকেটের চাহিদা বেশি। কিন্তু অধিকাংশ যাত্রীই তা পাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, অগ্রিম টিকেট ছাড়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তাই নির্দিষ্ট দিনের টিকেট সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাসের টিকেট বিক্রিতে বেশি অর্থ আদায়ের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। বাস-মালিকদের আশঙ্কা ছিল কম ছুটি ও বৃষ্টির কারণে এবারে যাত্রী সংখ্যা কম হতে পারে। তবে টিকেট কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় বলছে উল্টো কথা। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ছাড়াও কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, কলেজ গেটসহ বিভিন্ন স্থানের কাউন্টারে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। এসব এলাকায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ ছাড়াও সোহাগ পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, নাবিল পরিবহন, এসআর ট্রাভেলস কাউন্টারের সামনে ছিল যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। সংশ্লিষ্টরাও জানালেন, এবার সবচেয়ে বেশি চাপ থাকবে ৩০ ও ৩১ আগস্ট। এই দুইদিন সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। আবার কেউ কেউ ৩১ আগস্ট অফিস করেই ঢাকা ছাড়বেন। হানিফ এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সামাদ বলেন, এবার আমরা ২ সেপ্টেম্বরকে ঈদ ধরে অগ্রিম টিকেট বিক্রি করেছি। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চাপ রয়েছে ৩০ ও ৩১ আগস্ট। এই দুই দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হচ্ছে ৩১ আগস্ট। কেউ কেউ এই দিন ছুটি নিয়ে একদিন আগেই অর্থাৎ ৩০ আগস্ট ঢাকা ছেড়ে যাবেন। কেউ কেউ ৩১ আগস্ট অফিস করেই ঢাকা ছাড়বেন। তাই এই দুই দিন সবচেয়ে বেশি চাপ থাকবে। চাহিদা মতো টিকেট দেয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, দাম বেশি রাখা হচ্ছে না।
×