ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ক্লিনিকে ভুল ড্রপে নষ্ট হতে চলেছে শিশুর চোখ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৬ জুলাই ২০১৭

ক্লিনিকে ভুল ড্রপে নষ্ট হতে চলেছে শিশুর চোখ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৫ জুলাই ॥ শহরের হাসান এক্সরে ক্লিনিক এ্যান্ড প্যাথলজি ও জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ৩ দিনের এক নবজাতকের চোখে ভুল করে অন্য ড্রপ প্রয়োগ করে চোখ নষ্ট হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে শহরের হাসান জেনারেল হাসপাতাল ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নবজাতক শিশুটি সদর উপজেলার বগুলাডাংগি ভুল্লীবাজার এলাকার হাবিল শেখের কন্যা। নবজাতকের অভিভাবক হাবিল শেখ অভিযোগ করে বলেন, গত তিন আগে এই ক্লিনিকে আমার কন্যা শিশুর প্রসব হয়েছে। পরে শিশু ডাক্তার সাজ্জাদ হায়দার শাহীনকে দেখালে তিনি চোখের ও নাভির দুটি ড্রপ দেয়। সোমবার রাতে নার্সরা সঠিকভাবে ড্রপ প্রয়োগ করলেও মঙ্গলবার সকালে কর্তব্যরত নার্স লিপি রানী ভুল করে চোখের ড্রপ ব্যবহার না করে নাভির ড্রপ চোখে প্রয়োগ করে। ফলে শিশু চিৎকার করে অস্থির হয়ে উঠে। এ সময় নবজাতকের স্বজনরা রাজু নামে এক ক্লিনিক কর্মীর ওপর উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায় বলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছেন। অপরদিকে হাসান জেনারেল হাসপাতাল কর্তব্যরত নার্স লিপি রানী ডাঃ সাজ্জাদ হায়দার শাহীনের দেয়া সঠিক ড্রগ প্রয়োগ করেছেন বলে দাবি করেছেন। পরে তাৎক্ষণিক শিশু ডাক্তার সাজ্জাদ হায়দার শাহীনের কাছে নবজাতকটি নিয়ে গেলে ভুল ড্রপ প্রয়োগ করা হয়েছে তিনি জানান এবং চক্ষু ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন। পরে অভিভাবকরা ঠাকুরগাঁও গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতালে ডাঃ নাইমুল হাসানকে নবজাতকের চোখ দেখালে তিনি জানান, শিশুটির চোখ যে ড্রপটি প্রয়োগ করা হয়েছে সেটিতে অতিরিক্ত এসিড থাকায় চোখের ৭০ ভাগ অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। হাসান জেনারেল হাসপাতালের মালিক মানিক হোসেন জানান, ডাক্তার বা নার্সের ভুলবশত এমনটি হতে পারে। যেহেতু আমার ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘটেছে নবজাতকের চিকিৎসার ব্যয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বহন করবে। মাদারীপুরে বখাটের ব্লেডের আঘাতে মাদ্রাসার ছাত্রী হাসপাতালে নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২৫ জুলাই ॥ মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী বখাটেদের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের এক পাট ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলারচর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় যায়। মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে বোরকা পরা অপরিচিত একটি মেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছু দূর গেলে ঐ শিক্ষার্থীকে ওড়না দিয়ে হাত বেঁধে ফেলে। পরে তার মুখ ও চোখ বেঁধে টেনে হিঁচড়ে ছিলারচরের সীমান্তবর্তী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীকান্তাপুর চর শিমুলিয়া গ্রামের মোতালেব বেপারীর পরিত্যক্ত কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞাত পরিচয়ের বোরকা পরা ঐ মেয়েসহ মুখে কাপড় বাঁধা আরও কয়েকজন যুবক মিলে প্রথমে মারধর করে এবং পরে ব্লেড দিয়ে শিক্ষার্থীর হাতে ও বুকে আঘাত করে। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে বখাটের দল পালিয়ে যায়। পরে বাগানের মধ্যে কয়েকজন শিশু ছাগল নিয়ে আসলে শিক্ষার্থীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। এ সময় মেয়েটিকে ছিলারচর বাজারে নিয়ে আসলে স্থানীয়রা তাকে চিনতে পেরে বাড়িতে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করে এবং বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
×