ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আদমদীঘিতে মামলা করতে গিয়ে হাজতবাস

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৪ জুলাই ২০১৭

আদমদীঘিতে মামলা করতে গিয়ে হাজতবাস

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১৩ জুলাই ॥ প্রতিপক্ষের হাতে নির্যাতিত হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে উল্টো বাদীকে সারারাত ধরে থানাহাজতে আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে বগুড়ার আদমদীঘি থানায়। জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই গ্রামের আব্দুল কাদের সেদ্দা গ্রুপের লোকজনের হামলা ও মারপিটের শিকার হয় একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা তৌহিদুল ইসলামসহ তার পক্ষের নারীসহ ৬ জন। এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম বুধবার রাতে থানায় মামলা করতে যায়। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে আটক করে। এরপর গভীর রাতে পুলিশ কোন মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই তৌহিদুল ইসলামের গ্রাম উপজেলার লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে আরও ৯ জনকে আটক করে। এ সময় পুলিশ আটক করা ব্যক্তি এবং প্রতিবেশীদের বাড়ি ঘরের দরজা-জানালা এবং চুলা পর্যন্ত ভাংচুর করেছে। নির্যাতন করেছে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকেও। ফের পুলিশী তা-বের ভয়ে ওই গ্রাম এখন প্রায় পুরুষশূন্য। পুলিশের ভয়ে আহতরা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সরেজমিনে জানা যায় পুলিশী তা-বের চিত্র। এখনও বেশকিছু বাড়ির বাসিন্দা বাড়িতে তালা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে রয়েছে। রাতের বেলা পুলিশী নির্যাতনে আহত ব্যক্তিরা ছাড়া কোন পুরুষ বাড়িতে থাকে না। রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় পুলিশ প্রাচীর টপকে প্রবেশ করে তা-ব চালায় বলে জানিয়েছেন পুলিশের পিটুনিতে আহত নির্মাণ শ্রমিক আব্দুল ওহাব ও তার স্ত্রী নাজলী বেগম এবং গ্রামবাসীরা। এদিকে রাতের অন্ধকারে আটককৃতদের থানা হাজতে নিয়ে মারপিট করার পাশাপাশি তাদের খুন ও ডাকাতিসহ মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখায় এবং জামিনযোগ্য মামলা দেয়ার বিনিময়ে পুলিশ মোটা অংকের ঘুষ দাবি করে। পরে প্রায় লাখ টাকা ঘুষ দিলে ৯ জনকে ১৫১ ধারায় আদালতে চালান দেয়। পুলিশের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিগণ ও গ্রামবাসীরা বলেন, পুলিশ ওই গ্রামের বিএনপি নেতা গফুর হাজীর ছেলে নব্য আওয়ামী লীগার আব্দুল কাদের সেদ্দার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কোন মামলা বা লিখিত অভিযোগ ছাড়াই আমাদের আটক ও মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
×