ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এলেইন, ব্লেক ও গ্রাসির জ্যামাইকা জয়

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৯ জুন ২০১৭

এলেইন, ব্লেক ও গ্রাসির জ্যামাইকা জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুগে যুগে স্প্রিন্ট জগতের বিশ্ব তারকারা উঠে এসেছেন জ্যামাইকা থেকে। আর সেখানেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক মিট। অংশ নিয়েছেন বিশ্বের সেরা গতি তারকারা। কিন্তু গত অলিম্পিকে মহিলাদের স্প্রিন্টে সেরা এলেইন টমসনই জিতেছেন আগের মতো। ২০০ মিটারে ২০১৭ সালের ওয়ার্ল্ড লিডিং টাইমিং গড়েছেন। কিংস্টনে অবস্থিত ১৪তম জ্যামাইকা ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পুরুষদের ২০০ মিটারে জিতেছেন কানাডার তরুণ আন্দ্রে ডি গ্রাসি। আর পুরুষদের ১০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হন জ্যামাইকান তারকা ইয়োহান ব্লেক। চলতি মাসের শুরুর দিকে সাংহাই ডায়মন্ড লীগে দুরন্ত ছিলেন এলেইন। তার অন্যতম প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের টোরি বাউয়িকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ১০০ মিটারে বছরের সেরা টাইমিংও গড়েছিলেন ১০.৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে। এবার জ্যামাইকার ট্র্যাকের দিকে নজর ছিল সবার। কিন্তু এলেইন অন্য প্রতিপক্ষের কাছ থেকে তেমন কোন চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েননি। সহজেই জয় কুড়িয়ে নিয়েছেন ২২.০৯ সেকেন্ড টাইমিংয়ে। দ্বিতীয় হয়েছেন ৪০০ মিটারে সিদ্ধহস্ত প্রতিযোগী জ্যামাইকারই শেরিকা জ্যাকসন। তিনি ছিলেন অনেক পিছিয়ে, সময় নিয়েছেন ২২.৬১ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের শ্যালোন্ডা সোলোমনের সঙ্গে তীব্র লড়াই হয়েছে তার। তিনি জিতেছেন ২২.৬৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে। এলেইনের গড়া টাইমিংটা বছরের সেরা। যদিও টোরি বাউয়ি একই টাইমিং গড়েছিলেন গত এপ্রিলের মাঝামাঝি ক্যালিফোর্নিয়াতে। জয়ের পর এলেইন জানিয়েছেন তিনি কিছুটা অবসাদগ্রস্ত। এর কারণ ব্যস্ত সময়সূচী। কিন্তু সবগুলো রেসেই নামতে চান। এ বিষয়ে এলেইন বলেন, ‘বাঁকগুলো যত দ্রুত সম্ভব পেরিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন আমার কোচ। খুবই কর্মব্যস্ত একটা মৌসুম যাচ্ছে আমার। কেবল আমি সাংহাই থেকে এসেছি এবং আরেকটা দ্রুতবেগের টাইমিং করলাম।’ ২২ বছর বয়সী ডি গ্রাসি গত কয়েকটি রেসে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। অথচ কিংবদন্তি উসাইন বোল্টের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশেষে নিজের সক্ষমতা দেখাতে পেরেছেন এ কানাডিয়ান তরুণ স্প্রিন্টার। রেকর্ড অর্থে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর ভিভো স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রেকর্ড দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো। গত মঙ্গলবার নিলামে জিতে পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্জাইজি টি২০ লীগের পেছনে এই মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করবে ভিভো। টাকার পরিমাণ দুই হাজার দুই শ’ কোটি ভারতীয় রুপী। গত দুই বছর মৌসুম ভিভোর সঙ্গেই চুক্তি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। এই দুই মৌসুমে স্পন্সর হিসেবে বছরে ১০০ কোটি রুপীরও কম খরচ হয়েছে ভিভোর। আর সেটাই এখর নতুন চুক্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি রুপী। অর্থাৎ এক যুগ না পেরুতেই বহুগুণ বেশি দামে বিক্রি হলো আইপিএল। ২০২২ সাল পর্যন্ত আইপিএলের স্বত্বের লড়াইয়ে ভিভোর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আরেক মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপো। যারা আইপিএলের স্বত্ব পেতে এবার প্রস্তাব করেছিল ১ হাজার ৪৩০ কোটি রুপী। কিন্তু এই অর্থ ভিভোর ধারে কাছে না থাকায় হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না অপোর।
×