ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বকীয়তা বজায় রাখেনি নয়াদিল্লী ॥ বিরোধী দল

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত-মার্কিন অভিন্ন অবস্থানের সমালোচনা

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ২৯ জুন ২০১৭

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত-মার্কিন অভিন্ন অবস্থানের সমালোচনা

ইসলামী সন্ত্রাস নিয়ে আমেরিকান দৃষ্টিভঙ্গির খুব কাছাকাছি অবস্থান গ্রহণ করে ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতি দেয়ায় ভারতের বিরোধীদলগুলো এর তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা এই পদক্ষেপকে হতাশাব্যঞ্জক আখ্যা দিয়ে বলেছে, এতে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে নতুন কিছু বা বড় ধরনের চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন ঘটেনি। খবর-টাইমস অব ইন্ডিয়ার। তারা দু’দেশের মধ্যে এই সম্পর্কে মার্কিন নীতির সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেয়ে ভারতের ভিন্নমুখী চিন্তা বা ভাবধারা গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এবং এ বিষয়ে স্বকীয়তা বজায় না রেখে “ইসলাম ও সন্ত্রাস” একই জিনিস হিসেবে চিহ্নিত করার মার্কিন তত্ত্ব বা মতবাদ গ্রহণের জন্য নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র মনীশ তেওয়ারি বলেন, ভারত-মার্কিন যৌথ বিবৃতি হতাশাব্যঞ্জক। এটি বহু ব্যবহৃত পুরনো টুপি যাতে নতুন কোন চিন্তাধারার প্রকাশ ঘটেনি। মনীশ তেওয়ারি আরও বলেন, ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার সময় ট্রাম্প প্রশাসন ও ভারত ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেছিল। তিনি বলেন, ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাখ্যা, আমাদের সীমান্তে পাকিস্তানী পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। মসুল জয়ের পথে ইরাকী বাহিনী ইরাকে জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) রাজধানী হিসেবে ব্যবহৃত মসুল শহর থেকে জঙ্গীদের পুরোপুরি উৎখাতে আর মাত্র কয়েকদিন লাগবে বলে দাবি করেছে ইরাকী বাহিনী। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ওয়েবসাইটে ইরাকী প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি ‘অল্প সময়ের মধ্যেই বিজয়ের ঘোষণা দিতে পারবেন’ বলে জানিয়েছেন। খবর ইন্টারনেটের। এরপর মঙ্গলবার মসুলে আইএস জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইরাকী বাহিনী জানিয়েছে, পুরনো শহরে আইএসের শেষ অবস্থানস্থলে মাত্র ৩৫০ জঙ্গী বেসামরিক লোকজনের মধ্যে ঘাঁপটি মেরে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ওই অবস্থানস্থলের নদী তীরবর্তী অংশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরাকী বাহিনী। অপরদিকে ইরাকী কেন্দ্রীয় পুলিশ জিবানি মসজিদ থেকে জঙ্গীদের বিতাড়িত করে। এখন শহরটির ঐতিহাসিক কেন্দ্রস্থলের ছোট একটি অংশই শুধু জঙ্গীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল নুরি মসজিদের আশপাশের এই এলাকাটিতে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরাকী বাহিনী। এর মাধ্যমে আট মাস ধরে চলা মসুল অভিযানের চূড়ান্ত সমাপ্তি টানাই তাদের লক্ষ্য। মসুলের পুরনো শহরের কেন্দ্রস্থলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইরাকের কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিসের (সিটিএস) লে. জেনারেল আব্দুল ওয়াহাব আল সাদি বলেছেন, ‘পুরনো শহরের অবশিষ্টাংশগুলো মুক্ত করতে অভিযান চলছে।’
×