ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের দিন আবহাওয়া ভাল থাকবে

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৫ জুন ২০১৭

ঈদের দিন আবহাওয়া ভাল থাকবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী দু’তিন দিনে দেশে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে মৌসুমী বায়ু দুর্বল রয়েছে। হাল্কা বৃষ্টি হলেও রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার মধ্যেই কাটতে পারে ঈদের দিনটি। রৌদ্র ঝলমল আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটায় হাল্কা বৃষ্টি হলেও প্রভাব পড়বে না ঈদ আনন্দে। সবমিলিয়ে ঈদ-উল ফিতরের দিনে ভাল আবহাওয়া বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম। বৃষ্টির দেখা নেই বললেই চলে। গরমে দুর্ভোগে পড়ছে ঘরমুখী লোকজন। গত বছর জুনের শেষ সপ্তাহে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এ বছর এ সময়ে বিপরীত আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর মাত্র এক থেকে দু’দিন পর পালিত হবে পবিত্র ইদ-উল ফিতর। আবহাওয়াবিদ শাহ আলম জনকণ্ঠকে জানান, আগামী কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়া কিংবা ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। দেশের অধিকাংশ এলাকায় রোদেলা আবহাওয়া থাকতে পারে। বৃষ্টি হলেও কম থাকবে। টানা বৃষ্টি হবে না। দেশের দু’এক জায়গায় হাল্কা বৃষ্টিপাত হবে। রৌদ্র থাকবে। লঘুচাপের প্রভাব না থাকায় ভাল আবহাওয়াই বিরাজ করবে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী জুলাই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, জুলাইয়ে ঢাকা বিভাগে ৩৭৯ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৭২০ মিমি, সিলেটে ৫৭৯ মিমি, রাজশাহীতে ৩৫৪ মিমি, রংপুরে ৪১৬ মিমি, খুলনায় ৩৪১ মিমি ও বরিশালে ৫১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়। আগামী আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবহওয়াবিদরা জানান, গত বছরও জুনের মাঝামাঝিতে দেশে প্রবল বর্ষণ হয়। দেশে দেখা দেয় আকস্মিক বন্যা। তবে এ বছর মে মাস ও জুনের প্রথমদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিকে শনিবারও দেশে তেমন বৃষ্টিপাত ছিল না। অনুভূত হয় ভ্যাপসা গরম। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও দাবদাহ ও মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা কমেনি। মাঝে মাঝে বয়ে যাওয়া ঠা-া বাতাসেই প্রশান্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে মানুষ। রাজধানী ও সারাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। চৌত্রিশ পেরিয়ে গেছে রাজধানীর তাপমাত্রা। আর রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রী হওয়া মানেই ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। কাঠফাটা রোদ ও তীব্র গরমে নাজেহাল দেশবাসী এখন বৃষ্টির অপেক্ষায়। আর্দ্রতার দাপট ও বৃষ্টিশূন্যতাই গরমের তীব্রতা বৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। স্বস্তি প্রত্যাশী দেশবাসীকে আরেকটি দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি সেন্টারেই সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য অনেক হ্রাস পেয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়া অবস্থায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য যত হ্রাস পাবে, গরমের তীব্রতা ততই বাড়বে।
×