ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমেনি

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১২ জুন ২০১৭

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমেনি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমলেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা কমেনি। বাংলাদেশে এখন সাড়ে ৩৪ লাখ শিশু কর্মরত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৭ লাখ শিশু রয়েছে, যাদের কাজ শিশু শ্রমের আওতায় পড়েছে। বাকি শিশুদের কাজ অনুমোদনযোগ্য। কর্মরত শিশুদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আছে ১২ লাখ ৮০ হাজার। আর ২ লাখ ৬০ হাজার শিশু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে। তাদের কাজের বৈশিষ্ট্য জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ হুমকিস্বরূপ। শিশু শ্রমের এ চিত্র উঠে এসেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক সমীক্ষায়। জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষা ২০১৩-তে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আর বিবিএস’র ২০০৩ সালের হিসাব অনুযায়ী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪২ লাখ। ওই বছরেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লাখ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলেও শিশু শ্রমিকের সংখ্যা উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়ে গেছে। শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে অল্প বয়সী এসব শিশু অমানবিক পরিশ্রম করছে। শিশুশ্রম বন্ধে কঠোর আইন থাকলেও তার প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন না থাকায় শিশুশ্রম বন্ধ করা যাচ্ছে না। শিশুশ্রম বন্ধে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করে জোরালোভাবে তা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা শিশুদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে, তাদের সচেতন করতে মন্ত্রণালয় থেকে নোটিস জারি করতে হবে। জাতীয় শিশুনীতিতে এটা স্বীকার করা হয় যে, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে শিশুরা নানা শ্রমে নিয়োজিত হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রাম-শহরের ভেদ নেই। সরেজমিন ঘুরে শিশুশ্রমের করুণ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর ফার্মগেট তেজতুরিবাজার এলাকার বাবুল হোটেলে গত তিন বছর ধরে কাজ করছে ১৩ বছরের শিশু মোঃ জব্বার। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় তাদের বাড়ি। মা আয়েশা খাতুন ও পিতা মনসুর আলী কাওরানবাজারে চা দোকান চালায়। পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণেই সে হোটেলে কাজ নিয়েছে বলে জানায় শিশু জব্বার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিপরীত পাশের গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে একদল শিশু। তারা হাতে জুতা পালিশের উপকরণ নিয়ে বসে আছে। তারা মুচির কাজ করে। তাদের একজনের নাম সুমন (১০)। মাদারীপুরে তার বাড়ি। মা-বাবার সঙ্গে গত ৫ বছর ধরে পুরান ঢাকায় থাকে। আর্থিক কারণে লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি। সে দৈনিক ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা আয় করে। তবে অনেক সময় দিনের খাবারের টাকাও জুটে না বলে জানায় সুমন। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার একটি খাবার হোটেলে থালাবাসন ধোয়ার কাজে ব্যস্ত ৯ বছরের শিশু মোঃ হাবিব। সকালে নাশতা বানানোর কাজে সহায়তা করা থেকে শুরু করে বাসন মাজা, ঘর ঝাড়ু দেয়া, বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে সে প্রতিদিন। টাঙ্গাইল থেকে আসা ৯ বছর বয়সী এই শিশুটি জানায়, ৪ ভাইবোনের সংসারে সে দ্বিতীয় সন্তান। দরিদ্র বাবা-মায়ের কষ্ট একটু ঘোচাতে ৪ বছর আগে সে ঢাকায় আসে। নেত্রকোনার ১২ বছরের শিশু মাসুম মগবাজার পেয়ারাবাগ কাঁচাবাজারের পাশের একটি চা দোকানে কাজ করে। তার মালিক কাশেম চা তৈরি করেন। আর লোকজনের হাতে চা তুলে দেয় মাসুম। আশপাশের দোকানে দোকানে গিয়েও তাকে চা দিয়ে আসতে হয়। শিশু মাসুম জানায়, মা রাহেলা বেগম অন্যের বাসায় কাজ করেন। বাবা সবুজ মিয়া রিক্সা চালান। তিন ভাইবোনের মধ্যে সে সবার বড়। অস্বচ্ছলতার কারণেই সে লেখাপড়া করতে পারছে বলে জানায় শিশু মাসুম। শিশুটির নাম হাবিব, জন্মের কিছুদিন পরই দিনমজুর বাবাকে হারিয়েছে। ওই পরিবারে নেমে আসে কালো ছায়া। বাঁচার তাগিদে শিশু থেকেই কাজে নেমেছে সে। এখন তার বয়স ১৪ বছর। যে বয়সে তার স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছোটাছুটি করার কথা, তখন সে মগবাজার রেলগেটের একটি ওয়ার্কসপের ঝালাইসহ রড-টিন কাটা ও হাতুরি পেটানোর মতো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। শুধু শিশু হাবিব নয়, ১১ বছরের ইকবাল চালায় রিক্সা, ৯ বছরের জাফর করছে খাবার হোটেলের কাজ। ১০ বছরের শিশু জয়নাল পরিত্যক্ত শাক-সবজি, ফলমূল কুড়োয় কারওয়ানবাজারে। এসব কুড়িয়ে সে তার মায়ের কাছে জমা দেয়। আর তার মা সেগুলো পরিষ্কার করে বাজারের এক পাশে ভাগা সাজিয়ে বিক্রি করে। এসব কুড়োতে গিয়ে অনেক সময় ব্যবসায়ীদের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় বলে জানায় শিশু জয়নাল। এভাবে সারাদেশে এ রকম শত শত শিশু এখন জীবন ধারণ ও বেঁচে থাকার তাগিদে দৈনিক ২০-৫০ টাকা আয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমেছে। অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে বাবা-মা শিশুকে সামান্য টাকার বিনিময়েই এসব কাজে লাগিয়ে দিচ্ছেন। আর মালিক পক্ষও অনুকরণপ্রিয় শিশুদের কম টাকায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সুযোগ লুফে নিচ্ছেন। শিশু শ্রমিক কর্মরত শিশু, শিশুশ্রম, ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের আলাদা আলাদা সংজ্ঞা রয়েছে। ১৮তম শ্রম পরিসংখ্যানবিদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং ২০১৩-এর সংশোধন অনুসারে কর্মরত শিশু বলতে বোঝায়, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে। এ শ্রম অনুমোদনযোগ্য। তবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী কোন শিশু যদি কোন ধরনের ঝুঁকিহীন কাজও করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হবে। তারাও কর্মরত শিশুদের মধ্যে পড়ে যায়। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে, সেটা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম হিসেবে স্বীকৃত। গত এক দশকে অর্ধেকে নেমে এসেছে শিশুশ্রম প্রায় এক দশকের ব্যবধানে কর্মরত শিশুর সংখ্যার পাশাপাশি শিশুশ্রম অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিবিএসের ২০০৩ সালের জাতীয় শিশুশ্রম সমীক্ষায় দেখা গেছে, তখন প্রায় ৭৪ লাখ কর্মরত শিশু ছিল। তাদের মধ্যে ৩১ লাখ ৭৯ হাজার শিশুর কাজ শিশুশ্রমের আওতায় ছিল। তবে এক দশকের ব্যবধানে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের সংখ্যা তেমন কমেনি, কমেছে মাত্র ১১ হাজার। ২০০৩ সালে দেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ছিল। শিশুশ্রমের চিত্র বিবিএসের জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ১৮টি খাতে ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৪ জন শিশু ‘শিশুশ্রমে’ নিয়োজিত রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ জন মেয়ে শিশু। শিশুশ্রম বেশি দেখা গেছে কৃষিক্ষেত্রে ও কলকারখানায়, সেখানে ১০ লাখের বেশি শিশু কাজ করে। সবচেয়ে বেশি সাড়ে পাঁচ লাখ শিশু উৎপাদন খাতে বা কলকারখানায় কাজ করে। আর কৃষি খাতে কাজ করে পাঁচ লাখ সাত হাজার শিশু। দোকানপাটে ১ লাখ ৭৯ হাজার শিশু, নির্মাণশিল্পে ১ লাখ ১৭ হাজার শিশু কাজ করে। শিশুশ্রমে নিয়োজিতদের ৫৭ শতাংশের কাজই অস্থায়ী। বর্তমানে শিশুশ্রমে নিয়োজিত আছে এমন ১০ লাখ ৭০ হাজার শিশু এক সময় স্কুলে গেলেও এখন আর যায় না। আর ১ লাখ ৪২ হাজার শিশু কখনই স্কুলে যায়নি। এসব শিশুর সবাই দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। শিশু শ্রমিকদের মজুরিও বেশ কম। প্রায় সাত লাখ শিশু কোন মজুরি পায় না। থাকা-খাওয়ার বিনিময়ে তারা কাজ করে থাকে। মজুরি পায় সব মিলিয়ে ১০ লাখ ১৯ হাজার শিশু। ৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৪২ শিশু মাসে পাঁচ থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা মজুরি পায়। আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা মজুরি পায় ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪২৩ জন শিশু। আর প্রায় এক লাখ শিশু আড়াই হাজার টাকার কম পায়। আর সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি মাসে মজুরি পায় আড়াই লাখ শিশু। অন্যদিকে সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি বা দৈনিক গড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কাজ করে বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের (১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু) মজুরিও বেশ কম। প্রায় চার লাখ শিশুর মজুরিই মেলে না। মাসে মাত্র পাঁচ থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা পায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার শিশু। আর আড়াই লাখ শিশুর মজুরি সাড়ে সাত হাজার টাকার বেশি; ২ লাখ ৩৫ হাজার শিশুর মজুরি আড়াই থেকে পাঁচ হাজার টাকা। আড়াই হাজার টাকার কম মজুরি পায় ২০ হাজার শিশু। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে শিশুশ্রম কমেছে, এটা স্বস্তির খবর। সরকারী-বেসরকারী প্রচেষ্টায় ছিন্নমূল ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যালয়ে গমনের হার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত এই সাফল্য। তবে এটাই যথেষ্ট নয়। কারণ, সিএসআইডির গবেষণাতেই বেরিয়ে এসেছে, শিশুশ্রম কমলেও দেশে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা এখনও ঢের বেশি। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, চরম দারিদ্র্যের কারণেই শিশুরা শ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে সরকারকে যেমন একদিকে শিশু অধিকার সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে, তেমনি দারিদ্র্য হ্রাসে আরও মনোযোগ দিতে হবে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। শিশুশ্রম কমার ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই এর প্রভাব রয়েছে। বিপুলসংখ্যক শিশুকে এমন মানবেতর অবস্থায় রেখে আমরা নিজেদের কোনভাবেই সভ্য, মানবিক ও গণতান্ত্রিক দাবি করতে পারি না। তাদের কচি হাত হাতুড়ি পেটানোর জন্য নয়, বাসন ধোয়ার জন্য নয়, ভারি বস্তু মাথায় তোলার জন্য নয়; পেনসিল দিয়ে খাতায় বা দেয়ালে আঁকিবুঁকি করার জন্য। যখন কল্পনার ডানায় ভর করে স্বপ্নের দেশে চলে যাওয়ার সময়, তখন তারা কারখানায়, রান্নাঘরে বা রাস্তায় হারভাঙা খাটুনি করতে করতে ক্লান্ত। এই অবস্থা কখনই কাম্য নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। শ্রম মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে ১৩ লাখ শিশু। এসব শিশুকে শ্রমে নিয়োগের ব্যাপারে ব্যাপক বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে শর্তসাপেক্ষে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতিতে শিশুদের শ্রমে নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের কাজ করার জন্য অনুকূল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও বাস্তবে সেসব শর্তের সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে অনেক কারখানায়। পুরান ঢাকার ট্যানারি কারখানাগুলোতে শিশুরা ভয়াবহ পরিবেশে কাজ করছে। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের কয়েকটি লোহার কারখানায় দেখা গেছে, শিশুদের দিয়ে ভারি লেদ মেশিনে কাজ করানো হচ্ছে। কর্মঘণ্টা এবং দৈনিক কর্মতালিকার কোন বালাই নেই সেখানে। সপ্তাহে একদিন ছুটির ব্যবস্থা থাকলেও চাকরিচ্যুত করার আগে কোন নোটিস দেয়া হয় না। এছাড়া কর্মস্থলে তারা বড়দের দ্বারা নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। জাতীয় শিশুনীতি ২০১১ অনুসারে ৫ থেকে ১৮ বছরের শিশু কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারবে না। ৫ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুশ্রম নিয়োগকর্তার জন্য দ-নীয় অপরাধ। কিন্তু এ আইন শুধু কাগজে-কলমেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রমে নিয়োজিত অধিকাংশ শিশু মানসিক ও শারীরিকসহ নানা ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করছে। শিশু অধিকার ফোরামের চেয়ারপার্সন এনামুল হক চৌধুরী জানান, শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে এসব শিশুকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
×