ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাউফলে ২৪ কারবারি ধরাছোঁয়ার বাইরে

মোবাইল কলে মিলছে মাদক

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৩১ মে ২০১৭

মোবাইল কলে মিলছে মাদক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩০ মে ॥ বাউফল এখন মাদকসেবীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। চাইলেই পাওয়া যায় মরণ নেশা ইয়াবা ও গাঁজা। মোবাইলে কল করলেই বিক্রেতা মাদকদ্রব্য পৌঁছে দেয় সেবনকারীর হাতে। আর এজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়োজিত রয়েছে শতাধিক ভাসমান মাদক বিক্রেতা। পুলিশের তালিকায় মোট ২৪ জন মাদক সরবরাহকারীর নাম লিপিবদ্ধ থাকলেও তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বাউফল পৌরসভা ও কালাইয়ার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে দুটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এ সিন্ডিকেট রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছে একাধিক যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা। জড়িত রয়েছে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী। বাউফল পৌর শহরসহ উপজেলার প্রায় শতাধিক স্পটে প্রকাশ্যে ও গোপনে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা। এর মধ্যে পৌর শহরের কলেজ রোড, হাই স্কুল রোড, মুসলিমপাড়া নীলক্ষেত সড়ক, হাসপাতাল রোড, বাংলালিংক টাওয়ার সড়ক, এমপি ব্রিজ, বাংলাবাজার, বকুলতলা রোড, দাশপাড়া সাহাপাড়া রোড, মহিলা কলেজ রোড, আবদুর বাড়ির সড়ক, এজিবি ব্রিকফিল্ড ও কাগুজীপুল এলাকাসহ এক ডজন স্পটে বিক্রি হচ্ছে মাদক। এছাড়াও উপজেলার দাশপাড়া চৌমুহনী বাজার, ল্যাংড়া মুন্সীরপুল, কাঠেরপুল সড়ক, কালাইয়া বন্দরের কাঠপট্টি, বাজার রোড, হাই স্কুল রোড, লঞ্চঘাট, কালাইয়া টেম্পোস্ট্যান্ড, আয়নাবাজ কালাইয়া, কলেজ রোড, নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি বাজার, সুলতানাবাদ বাজার, কেশবপুরের মমিনপুর বাজারসহ কালিশুরী, ধূলিয়া, কাছিপাড়া, কনকদিয়া ও বগা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ও গাঁজা। সূত্র জানায়, উপজেলার ধূলিয়া, নুরাইনপুর, কালাইয়া, বগা এবং কাছিপাড়ার ঝিলনা ও কারখানা হয়ে ঢুকছে মাদকের চালান। নৌ ও সড়কপথে এসব মাদক সরবরাহ করা হয়। এসব মাদক বেচাকেনায় মোবাইল ফোনে বিক্রেতা ও ক্রেতা দরদাম আর ডেলিভারির স্থান ঠিক করে নেয়। এরপর নগদ টাকা কিংবা বিকাশে লেনদেন সম্পন্ন করে মাদক পৌঁছে দেয়া হয়। এদের রয়েছে ২৪ ঘণ্টার ভ্রাম্যমাণ সার্ভিস। ফোন পেলেই গন্তব্যস্থলে মাদকের চালান পৌঁছে দিয়ে আসে তারা।
×