ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাঘাটায় মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার প্রতিকার দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২০ মার্চ ২০১৭

সাঘাটায় মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার  প্রতিকার দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৯ মার্চ ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণকালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাঘাটা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ওয়ারেছ আলী প্রধানের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ এবং প্রতিকার দাবিতে রবিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এসএম সামশীল আরেফিন টিটু সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ১৭ মার্চ স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়ার সমর্থকরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালকে ঘিরে মঞ্চ তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির অবমাননা করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বি মিয়া ও সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতি ও তাদের নির্দেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারাল অস্ত্র, বেকি, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সাঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেছ আলী প্রধানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আরও উল্লেখ করা হয়, উক্ত সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি ছেড়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার পুরনো দলীয় সহযোগী ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করে সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ করছে। তদুপরি সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার ১৮৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের সদস্যদের সভাপতি বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে। টিআর, কাবিখা, কাবিটা, ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, এমনকি মসজিদ-মন্দির, ঈদগাহ মাঠ, কবর স্থানের সংস্কার ও জেলা পরিষদ থেকে কোটি কোটি আত্মসাত করছেন।
×