ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাতকে কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের সংঘর্ষ ॥ হত ১ আহত শতাধিক

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ছাতকে কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের সংঘর্ষ ॥ হত ১ আহত শতাধিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ॥ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার পৌর শহরের জালালিয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও বনেসুর কউমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আবদুল বাছিত বাবুল নামের এক যুবক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় আরও শতাধিক আহত হয়েছে। নিহত বাছিত ছাতক পৌর শহরের বাঘবাড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। সোমবার বেলা ২টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও ১০ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সঙ্গে সাধারণ জনতাও অংশ নেয়। ছাতক পৌর শহর হয়ে উঠে রণক্ষেত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৬, ২৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে ছাতক কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে জাওয়া বাজারে ব্যানার টানায় তারা। ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলে ছাতক আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা। এ নিয়ে গতকাল দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে। উপজেলা চেয়ারম্যান দু’পক্ষের সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশনা দেন। কিন্তু সোমবার দুপুর ২টায় ছাতক জালালিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢিল ছোঁড়ে কওমি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলের ব্যানারে। এ নিয়ে দুই পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সঙ্গে সাধারণ জনতাও অংশ নেয়। এ ঘটনায় শতাধিক দোকান ভাংচুর করা হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ বিকেল চারটার দিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আহতদের ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। শহরের প্রতিটি মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ হতাহতের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এতে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে বলে তিনি জানান।
×