ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উবাচ

বেতাল স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর সময় খালেদা জিয়ার শহীদ মিনারের মূল বেদীতে উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মধ্যরাতে যাওয়ায় হয়ত ‘বেতাল’ হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ঠিকইতো কতক্ষণ আর তালে থাকা যায়! বেতাল না হয়ে উপায় আছে। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ভাষার প্রতি তার (খালেদার) সম্মানই নেই। শহীদ মিনার, একটি পবিত্র জায়গা। ওই শহীদ মিনারে আমরা যেখানে ফুল দিয়েছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ফুল দিয়েছেন। আমি ফুল দিয়েছি। মাননীয় স্পীকার ফুল দিয়েছেন। অসংখ্য নেতারা ফুল দিয়েছেন। বিএনপি নেত্রী তার স্ব-দলবল নিয়ে ঠিক ওই জায়গাটায় উঠে দাঁড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেখানে সবাই ফুল দেবেন, সেই বেদীতে যদি উঠে যায় তাহলে, তাহলে তিনি ফুলটা দিলেন কোথায়? নিজের পায়ে দিয়ে এলেন কি না, সেটাই প্রশ্ন? একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারের মূল বেদীতে উঠে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এ ঘটনায় সারাদেশেই সমালোচনার ঝড় বইছে। অবশ্য বিএনপি সব ক্ষেত্রে বলছেন অন্য সবাই যদি ওখানে দাঁড়িয়ে দিতে পারে আমরা বিএনপি কেন পারব না। এখন তো বলতেই হয় হায় বিএনপি! হায় বিএনপি! আমার কেউ না স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিনি জাতীয় পার্টির বড় নেতা। একবার সংসদ সদস্য ছিলেন। আবারও সংসদ সদস্য হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এর জন্য পথের কাঁটাতো পরিষ্কার করা দরকার। খুন করে বসলেন সরকার দলের সংসদ সদস্যকেই। কি আশ্চর্য ঘটনা? আবার ডাক্তার মানুষ তিনি। যাই হোক কাজের কাজটি করেছেন অবশ্য তার দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি তো সাদাসিদা লোকের মতো বলেই দিছেন এই কাদের খান তার দলের কেউ নন। এরশাদ বলেন, আব্দুল কাদের খান এক সময় জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। তিন বছর আগে দলের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। কিন্তু তিন বছর ধরে তার সঙ্গে আমার এবং দলের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, আব্দুল কাদের খান আমাদের কেউ নন। দলের কোন পদেও নেই। সত্যিই তো এত প্রেসিডিয়াম সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ে কোন বড় দলেও নেই। সেই রকমভাবে দলের এত নেতা! কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যা বেশি। এত নেতা হলে ক’জনেরই বা খোঁজ রাখা যায়। ষড়যন্ত্র স্টাফ রিপোর্টার ॥ কানাডার আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলল বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন। এতে সরকারের সম্পৃক্ততা কী। হয়ত বাংলাদেশের আদালতে বিএনপি বলতে পারত, ওই বিচারক একদা ছাত্রলীগ করত। কিন্তু কানাডার আদালতের সাদা চামড়ার বিচারক তো ছাত্রলীগও করেনি আওয়ামী লীগও করেনি। তিনিও কেন বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন বললেন। বিএনপি অবশ্য এখনও মনে করছে এটাও সরকারের ষড়যন্ত্র। তাদের সহজ সরল কর্মীটা দেশে বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে কানাডার আদালতে গিয়ে বলল থাকতে দেও। কানাডার লোক তো আর বিএনপির মতো কানা না, যে তারা কিছুই দেখবে না কিছুই শুনবে না। বলবে পেট্রোল বোমা জিন্দাবাদ। বিএনপির পেট্রোলবোমার লেলিহান শিখা আর মানুষের আত্মচিৎকার কানাডার বিচারককেও স্পর্শ করেছে। সংবাদ সম্মেলন করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসব সংবাদ প্রকাশ করে নাটক সাজাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। রিজভী বলেন, কানাডার আদালতের রায় পড়ে যেটুকু বুঝেছি, এটা সম্পূর্ণ চক্রান্তমূলক নাটকের অংশ। আমরা মনে করি, এটি বর্তমান সরকারের একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয় এবং নাটক সাজাতে ওইভাবে তথ্য-প্রমাণ সরবরাহ করেছে।
×