ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবিতে গোলটেবিল বৈঠক

সন্তানের জঙ্গী হয়ে ওঠার কাহিনী নিজ মুখে বললেন এক বিদেশী মা-

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সন্তানের জঙ্গী হয়ে ওঠার কাহিনী নিজ মুখে বললেন এক বিদেশী মা-

বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ধর্মবিদ্বেষী গোষ্ঠী হঠাৎ ধর্ম সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে ওঠা তরুণদের বিপদগামী করতে নিজ ধর্ম সম্পর্কেও বিদ্বেষী করে তোলে। এমনকি মুসলিম ধর্মের তরুণদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেও। আমার ছেলে সাবরিকে বলা হয়, ‘মসজিদে ঠিকভাবে নামাজ পড়ানো হয় না।’ আর এভাবেই তাকে বিপথগামী করে সিরিয়া যাওয়ার উস্কানি দেয়া হয়। আইএসে যোগ দেয়ার পর একপর্যায়ে সে সেখানেই যুদ্ধে নিহত হয়। ঠিক এমনভাবেই আইএসে যোগ দেয়া সন্তানের গল্প বললেন এক মা। তিনি তিউনিসীয় বংশোদ্ভূত সালিহা বেন আলী। তিনি বেলজিয়ামের নাগরিক। সিরিয়ায় গিয়ে সাবরির মৃত্যুর পর তিনি লজ্জায় লুকিয়ে থাকেননি। প্রথম ইউরোপীয়ান নারী হিসেবে ছেলের জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়া নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সোসাইটি এগেইনস্ট ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম (সেভ)’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে আইএসে জড়িয়ে যাওয়ার গল্প শোনান তিনি। ইনোভেশন ফর ওয়েল বিং ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গোলটেবিল অনুষ্ঠানে বক্তারা তরুণদের চরম পন্থায় জড়ানো ও চরম পন্থা প্রতিরোধের বিষয়ে কথা বলেন। সালিহা বেন আলীর বয়ানে সাবরি বেন আলীর পরিবর্তন ও আইএসে যোগ দেয়ার গল্পটা ছিল এমন। সাবরি আর দশটা কিশোর তরুণের মতোই স্বাভাবিক ছিল। নিয়মিত স্কুলে যেত। তার মাথায় সারাক্ষণ নানা প্রশ্ন কিলবিল করত। এমন এমন প্রশ্ন, যার উত্তর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গান ভালবাসত। খেলাধুলাও করত নিয়মিত। ছবি তুলতে তো খুব ভালবাসত। সালিহা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে শর্ত বেলজিয়ামে মানা হয়, তার অপব্যবহার করত ওই লোকগুলো। তারা অন্য ধর্মের নামে বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলত। সাবরিকে সিরিয়ায় যাওয়ার জন্য উস্কানী দিত। তারা সব ঘটনার পেছনেই ষড়যন্ত্র খুঁজত।
×