ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

একনেকে ২ হাজার ৭২ কোটি টাকার আট প্রকল্প অনুমোদন

ওসমানী বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ওসমানী বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বোয়িং-৭৭৭ এর নিরাপদে অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য প্রায় ৪৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় মোট ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৭২ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে। একনেক সভায় মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, একনেক সভায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এখানে বোয়িং-৭৭৭ এর মতো বড় উড়োজাহাজ ওঠানামা করতে পারবে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত মেয়াদকালে বাস্তবায়ন করা হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করবে। মন্ত্রী আরও জানান, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খুলনা শহর যেহেতু দিন দিন বড় হচ্ছে সেজন্য পুরো শহরকে সংযোগ সড়ক প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলোÑ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততার উন্নীতকরণ (গোপালগঞ্জ জোন) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে শেখ কামাল সেতু, শেখ জামাল সেতু ও শেখ রাসেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প। কম্পোনেন্ট বাড়ায় প্রকল্পটি তৃতীয়বারের মতো সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অনুমোদন পেয়েছে দুটি সংযোগ সড়ক (নিরালা এভিনিউ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এভিনিউ) নির্মাণ প্রকল্প, এতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এছাড়া একনেকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২০ কোটি টাকা। যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙ্গন হতে গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলা এবং গণকবরসহ ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীর অনুন্নত এলাকা উন্নয়ন এবং উন্নত এলাকার অবকাঠামো মেরামত ও পুনঃনির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ২০ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড এনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সিলেট, চট্টগ্রাম, নাটোর, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, বরিশাল এবং মাগুরায় একটি করে আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড এনকিউবেশন সেন্টার করা হবে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৭ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
×