ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জীববিজ্ঞান

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

Taslima Afroz (Eity) Blessed with SHAH MD. IDRIS ALI & HAMIDA ALI M.Sc.-Zoology, Entomology (First Class 1st), B.Sc.-Horn’s-Zoology (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01717-293619 প্রথম অধ্যায়: জীবন পাঠ আজকের আলোচনা: জীবের শ্রেণিবিন্যাসের এর বিভিন্ন ধাপ, দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি, কয়েকটি জীবের দ্বিপদ নাম জীবের শ্রেণিবিন্যাসের এর বিভিন্ন ধাপ: আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে জীবের শ্রেণিবিন্যাসের জন্য জীবের বৈজ্ঞানিক নাম নির্ধারণ করা হয়। উদ্ভিদের নাম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ফব ড়ভ ইড়ঃধহরপধষ ঘড়সবহপষধঃঁৎব (ওঈইঘ) কৃর্তক এবং প্রাণীর নাম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ফব ড়ভ তড়ড়ষড়মরপধষ ঘড়সবহপষধঃঁৎব (ওঈতঘ) কর্তৃক স্বীকৃত নিয়োমানুসারে হতে হবে। প্রকৃত পক্ষে এই ঈড়ফব পুস্তকাকারে লিখিত দলিল। জীবের শ্রেণিবিন্যাসের জন্য ঈড়ফব স্বীকৃত কতগুলো একক বা ধাপ আছে, সর্বোচ্চ ধাপ হলো করহমফড়স (জগৎ) ও সর্বনি¤œ ধাপ হলো ঝঢ়বপরবং (প্রজাতি)। একটি জীবকে প্রজাতি পর্যন্ত বিন্যাসের ক্ষেত্রে মূলত ৭টি ধাপ আছে। ধাপগুলো হলো: করহমফড়স (জগৎ) ২. উরারংরড়হ (বিভাগ) / চযুষঁস (পর্ব) ৩. ঈষধংং (শ্রেণি) ৪. ঙৎফবৎ (বর্গ) ৫. ঋধসরষু (গোত্র) ৬. এবহঁং (গণ) ৭. ঝঢ়বপরবং (প্রজাতি) আধুনিক শ্রেণিবিন্যাসে এই ধাপগুলোকে প্রয়োজনে আরও নির্দিষ্ট উপ-ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি : এক কথায়, দুটি ল্যাটিন বা রুপান্তরিত ল্যাটিন শব্দ দ্বারা প্রতিটি জীব (উদ্ভিদ+প্রাণী) এর নামকরনের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। অন্যভাবে বলা যায়, প্রতিটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার এবহঁং বা গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার ঝঢ়বপরবং বা প্রজাতির নাম। যেমন মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম ঐড়সড় ংধঢ়রবহং । এখানে ঐড়সড় গণ নাম ও ংধঢ়রবহং প্রজাতির নাম বুঝায়, এরুপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম (বৈজ্ঞানিক নাম) এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ (ইরহড়সরধষ হড়সবহপষধঃঁৎব) পদ্ধতি বলে। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির লক্ষ্য: মূলত একটাই। তা হচ্ছে এই বৈচিত্র্যময় জীবজগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা। দ্বিপদ নামের নির্ধারক: আন্তজার্তিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে জীবের দ্বিপদ নাম (বৈজ্ঞানিক নাম) নির্ধারণ করা হয়। উদ্ভিদের নাম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ফব ড়ভ ইড়ঃধহরপধষ ঘড়সবহপষধঃঁৎব (ওঈইঘ) কৃর্তক এবং প্রাণীর নাম ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়ফব ড়ভ তড়ড়ষড়মরপধষ ঘড়সবহপষধঃঁৎব (ওঈতঘ) কর্তৃক স্বীকৃত নিয়োমানুসারে হতে হবে। প্রকৃত পক্ষে এই ঈড়ফব পুস্তকাকারে লিখিত দলিল। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রবর্তক: সুইডিশ বিজ্ঞানী ঈধৎড়ষঁং খরহহধবঁং (ক্যারোলাস লিনিয়াস) ১৭৫৩ সালে ঝঢ়বপরবং ঢ়ষধহঃধৎঁস বইটি রচনা করেন। এই বইটি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা করে, কারণ এর প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রর্বতন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন। তিনিই প্রথম ঐ গ্রন্থে জীবের শ্রেণি, বর্গ, গণ এবং প্রজাতি ধাপগুলো ব্যবহার করেন। লিনিয়াসের এই দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার আবিষ্কার। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়ম: এ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতিটি জীবের- ১. নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে। নামকরণ ল্যাটিন শব্দে হওয়ায় কোনো জীবের বৈজ্ঞানিক নাম সারা বিশ্বে একই নামে পরিচিত হবে । ২. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন: খধনবড় ৎড়যরঃধ। এটি রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে খধনবড় গণ এবং ৎড়যরঃধ প্রজাতিক নাম। ৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য (টহরয়ঁব) হতে হয়। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই। ৪. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন: পিঁয়াজ- অষষরঁস পবঢ়ধ, সিংহ -চধহঃযবৎধ ষবড়। ৫. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন : ধান- ঙৎুুধ ংধঃরাধ, কাতলা মাছ - ঈধঃষধ পধঃষধ। ৬. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন : শাপলা -ঘুসঢ়যধবধ হড়ঁপযধষর, ইলিশ মাছ -ঞবহঁধষড়ংধ রষরংযধ ৭. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে। ৮. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তাঁর নাম প্রকাশের সনসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে। যেমন : ঐড়সড় ংধঢ়রবহং খ.,১৭৫৮, ঙৎুুধ ংধঃরাধ খ.,১৭৫৩ (এখানে খ, খরহহধবঁং এর নামের সংক্ষিপ্ত রুপ)
×