ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উবাচ

জেল ভাঙ্গুন স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার নেতাকর্মীদের জেল ভাঙ্গার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব এই পদে দায়িত্ব পালনে ভারপ্রাপ্ত অবস্থায় পুলিশের ভয়ে মোটরসাইকেলে মাথায় তোয়লে ঢেকে ঘুরতেন। একবার তো এই অবস্থায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে পড়ে যান। এ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক হাস্যরস তৈরি হয়েছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা একত্রিত হবেন, কিন্তু দলের মহাসচিবই বোরকা পরে পালিয়ে বেড়ান তাহলে নেতাকর্মী আর বের হয়! সেই যে বিএনপি কর্মী রাজনীতি বিমুখ হলো আর ফিরল না। এরপর কয়েকবার বিএনপি মহাসচিব জেলে গেছেন বটে তবে অনেকেই মুখ আড়াল করে বলেন, এসব সমঝোতার জেলে যাওয়া। সকলের মনে আছে নিশ্চয়ই ২০১৫ সালে ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ৯৩ দিন সারাদেশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল দলটি। তখন পুড়িয়ে মানুষ মেরে গোটা বাংলাদেশটাকে শ্মশান পুরিতে পরিণত করেছিল দলটি। পোড়া মানুষের আর্তনাদেও মন গলেনি দলটির। কিন্তু সারাদেশের নিরপরাধ মানুষের বিষাদে ভরা নিশ্বাসের ফল ভোগ করছে বিএনপি। জনকল্যাণের পরিবর্তে জনগণের শরীরে আগুন দিলে ভালবাসার পরিবর্তে ঘৃণাই জোটে। সেই ঘৃণা আর প্রত্যাখ্যানের পর বিএনপি নেতারা বিক্ষোভ সমাবেশ দিয়েও মাঠে নামে না। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে বিএনপি শুধু নিজেরই ক্ষতি করেনি সারাদেশের সাধারণ কর্মীদের বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। অথচ এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম বলছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য অনেক নেতাকর্মী জেলে আছেন। আমাদের প্রত্যেকের সাত আট বার করে জেলে যাওয়া হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, এখন আর জেলে যেতে ভয় লাগে না। জেলে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছি। মানসিকভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছি। তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন জেলে যেতে নয় বরং জেল ভাঙ্গার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এখন মহাসচিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কেউ যদি সত্যি বলে ‘বসেন লাথি মার ভাঙ্গরে তালা, যতসব বন্দীশালা আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা।’ তাহলে বিপদের দায় টুকু কে নেবেন। প্রথমবার মানুষ পুড়িয়ে যে ভোগান্তির স্বীকার হয়েছে সাধারণ নেতাকর্মীরা তার কতটুকু দায় মহাসচিব নিয়েছেন? আর এখনের জেল ভাঙ্গার দায়েরইবা কতটা নেবেন। প্রশ্নর উত্তর মেলা কঠিন। রাজনীতির জন্য মানুষ না মানুষের জন্য রাজনীতি? নেতায় ভরে গেছে দলটা স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সঙ্গে পরপর দুইবার ক্ষমতায়। সবার পদোন্নতি হয় আর কর্মীদের পদের উন্নতি হবে না তাই কি হয়। নিয়ম মতো এই কর্মীরা পদোন্নতি পেয়ে নেতাই হবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তো সেই বিব্রত। তার দলে কর্মী কই সবইতো নেতা। তিনি সরাসরিই বলেছেন আওয়ামী লীগে কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। তবে এদের তিনি সুসময়ের বন্ধু বলেই মনে করেন। তিনি বলছেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে অনেক নেতা সামনে বসে থাকেন। তারা আবার হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান। এসব কর্মী ও নেতাদের চেনা বড় দায়। মন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, ফুল শুকিয়ে যায়। ফুলের সুবাস ফুরিয়ে যায়। কিন্তু মানুষের ভালবাসা কখনও ফুরায় না। তাই মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, তাদের ভালবাসা অর্জনের লক্ষ্যে সবাই কাজ করুন। ফোর্স কমিটি স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি কথা আছে, তুমি মানুষকে সম্মান করলে মানুষও তোমাকে সম্মান করবে। কিন্তু মানুষকে কেউ যদি সম্মান না করে তার কি সম্মান পাওয়া উচিত? নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি গঠিত কমিটিকে সার্চ কমিটির বদলে ফোর্স কমিটি বলছেন বিএনপি নেতা দুদু। এই মন্তব্যটি কি শিষ্টাচার পরিপন্থী নয়? যখন তারই দল আরও কুড়িখানা দলের সঙ্গে বৈঠক করে নিজেরা আলোচনা করে নিজেদের লোকদের নির্বাচন কমিশনার বানানোর জন্য নাম প্রস্তাব করতে বলেন। যখন ধরেই নিয়েছেন এটা ফোর্স কমিটি তাহলে নাম নিয়ে দৌড়াদৌড়ি কেন। দুদু বলেন, ‘এই কমিটি ভাল কিছু দিতে পারবে না।’ শামসুজ্জামান দুদু বলেন, রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগে জাতি আশাবাদী হয়েছিল। কিন্তু ঘোষিত সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার আবারও ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করতে চায়। সার্চ কমিটি গঠনের নামে ফোর্স কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি ভাল কিছু দিতে পারবে না। দুদু বলেন, বিএনপি আবার রাজপথে তখনই নামবে, যখন দেখবে আলোচনার আর কোন সুযোগ নেই।
×