ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বেতাগা এখন সবুজ বাংলার এক খণ্ড ছবি

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭

বেতাগা এখন সবুজ বাংলার এক খণ্ড ছবি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সবুজে ঘেরা এ যেন বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য। এ যেন সবুজ বাংলার ছবি। সবুজের সমারোহে মনমুগ্ধ পরিবেশ। টেকসই উন্নয়ন ও লক্ষ্যমাত্র অর্জনে বনায়নও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ৬৫ কিলোমিটার জুড়ে বেতাগা যেন সবুজ পল্লী। বনায়ন এই এলাকাকে করেছে অনিন্দ্য সুন্দর। পরিবেশকে সুরক্ষা করার পাশাপাশি সাড়ে ৩ শত উপকার ভোগীকে করে তুলেছে স্বাবলম্বী। পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো এখন কর্মক্ষম। আরও স্বাবলম্বী। দেশী-বিদেশীরা এ ছবি দেখে মুগ্ধ। ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের নাম। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, ১৯৯৮/৯৯ সালে শিক্ষা স্বাস্থ্য সেনিটেশনে শতভাগ সাফল্যের পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষায় পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি নিজস্ব উদ্যোগে ও অর্থায়নে প্রথমে ইউনিয়নের সকল প্রবেশ পথের দুই পার্শ্বে বিপুল পরিমাণে বৃক্ষাদি রোপণ শুরু করেন। এরপর প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই রাস্তার দু’পার্শ্বে বৃক্ষরোপণ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ৬৫ হাজার ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করেছেন। আর এই গাছগুলো পরিচর্যা করার জন্য তিনি নিজ নিজ এলাকার সাড়ে তিনশ’ উপকার ভোগীকে নিয়ে ১১টি সমিতি তৈরি করেন। যাদের কাছে এ গাছ পরিচর্যার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এরাই এখন তাদের রোপণকৃত বৃক্ষাদি পরিচর্যা ও দেখাশোনার কাজ করছে। এই ১১টি সমিতির রোপণকৃত ৬৫কিলোমিটার বনায়নে সারাদেশের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা সারাদেশে সুনাম অর্জন করতেও সক্ষম হয়েছে। এখানে অর্জুন, অশোক, কৃষ্ণচূড়া, শিরীষ, বাবলা, কড়াই, আম, জাম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়েছে। স্থানীরা বলেছেন, চুলকাঠি, গৌরম্ভা শুকদাড়া বা শ্যামবাগাত যে স্থান দিয়েই বেতাগায় প্রবেশ করবেন, সেদিকেই রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধ বৃক্ষের সমারোহ দেখবেন। এই গাছের বর্তমান বাজার মূল্য তিন কোটি টাকা। তাদের রোপণকৃত বৃক্ষ দেখার জন্য জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল বেতাগায় এসেছিল। যার মধ্যে ছিলেন, মোজাম্বিকের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভারতে সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের ২৫ প্রতিনিধি।
×